৬ মাস সময় চেয়েছে বিশ্বব্যাংক
শিমুল রহমান: শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি ও গাড়ির পাসবই জমা দেবে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস। এর জন্য এনবিআরের কাছে ছয় মাস সময় চেয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাংক বাকি পাসবুকগুলো নবায়ন এবং ফেরত দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যে কোনো ধরনের অসঙ্গতি দূর করতে এনবিআর-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বিশ্বব্যাংক।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে লেখা চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান জানিয়েছেন, ‘ইতোমধ্যেই অনেকগুলো বই জমা দেওয়া হয়েছে। তবে ভুলবশত হয়তো কিছু পাসবই জমা দেওয়া হয়নি। এগুলো এখন জমা দিয়ে দেওয়া হবে। কিছু বই হয়তো খুঁজতে হবে। এর জন্য সময় চেয়েছে বিশ্বব্যাংক।’ প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যেই পাসবইগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কনফারেন্স রুমে ইকনোমিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইআরএফ’-এর এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি এ তথ্য জানান। তবে বিকালে ই-মেইলে পাঠানো একটি লিখিত বিবৃতিও পাঠিয়েছেন চিমিয়াও ফান।
আইন অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনা গাড়ি বিক্রি করা যায় না। কর্মকাল শেষে মিশন প্রধানকে গাড়ি বুঝিয়ে দিতে হয়। এরপর মিশন প্রধান শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে অবহিত করে গাড়ির ব্যাপারটি নিষ্পত্তি করে থাকেন। কিন্তু এ ১৬টি গাড়ির ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। সেক্ষেত্রে মিশন প্রধান দায় এড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৩৪টি বিলাসবহুল গাড়ি আটক করা হয়েছে।
চিমিয়াও ফানের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান মেহেরিন এ মাহবুবের মেইল থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছেÑ‘বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় ছেড়ে গেছেন, এমন বিদেশি কর্মকর্তাদের ৩৫টি পাসবুক শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তারা ঢাকা অফিস ছেড়ে যাওয়ার সময় পাসবুকগুলো শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগে জমা দিয়ে যাননি। এগুলোর মধ্যে এমন ৯টি পাসবুক রয়েছে, যেগুলোর কথা বিশ্বব্যাংকের কাছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের পাঠানো আজকের চিঠিতে উল্লেখ ছিল। আমরা যথাযথ অনুসন্ধান চালিয়ে বাকি পাসবুকগুলোয় থাকা নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।