মুক্ত ভালোবাসাতেই বিশ্বাস করেন ট্রোব্রায়ান্ড আইল্যান্ডের বাসিন্দারা
ডেস্ক রিপোর্ট: বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক মানেই অধিকাংশ দেশে আইন এবং সমাজের চোখে তা অপরাধ। কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ দিকে পাপুয়া অ্যান্ড নিউ গিনির ট্রোব্রায়ান্ড অ্যাইল্যান্ডের বাসিন্দারা ‘মুক্ত ভালোবাসা’-তেই বিশ্বাস করেন। অর্থাৎ, বিবাহিত বা অবিবাহিত পুরুষ, মহিলাদের একাধিক সম্পর্কে জড়ানোটাই এখানে স্বাভাবিক নিয়ম। শুধু তাই নয়, গ্রামে গ্রামে থাকে আলাদা ভালোবাসার ঘর। সেখানে গিয়ে নিজের মনের মানুষটির সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন যে কোনো পুরুষ বা মহিলা। এবেলা
মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত এই দ্বীপের রীতি-রেওয়াজ শুনলে আদিম যুগের কথা মনে পড়তে বাধ্য। বিশেষত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখানাকার বাসিন্দাদের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই খোলামেলা। যদিও, তা নিজেদের জনজাতির বাসিন্দাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সাদা চামড়া এবং চুলের মানুষদের এরা অশুভ বলেই ধরে নেন। ট্রোব্রায়ান্ড আইল্যান্ডের নারীরা বহুগামী হলেও সমস্যা নেই। তাদের সন্তানদের সযতেœ লালন-পালন করে নারীর পরিবার। শুধু তাই নয়, খুব অল্প বয়স থেকেই এখানকার ছেলে, মেয়েরা প্রেম, যৌনতার সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায়। কিন্তু সবটাই নিজেদের জনজাতির তৈরি করা নিয়ম অনুযায়ী। ফলে, বহুগামিতার বিপদগুলি সম্পর্কেও কোনো ধারণা থাকে না এদের। ফলে সহজেই এইচআইভি এবং এইডসের সহজ শিকার হন এই দ্বীপের বাসিন্দারা।
বর্তমান প্রজন্মের কয়েকজন আধুনিক শিক্ষার সুযোগ পেলেও যৌনজীবনের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এখনও কোনো পরিবর্তন আসেনি। এদের বিশ্বাস, পুরুষ শুধুমাত্র নারীকে গর্ভবতী করার পথটি প্রশস্ত করে দেন। কিন্তু আসলে সব সন্তানেরই আসল পিতা বালোমা নামে এক উপদেবতা।
এই দ্বীপের বাসিন্দাদের আরও একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় দিক রয়েছে। ট্রোব্রায়ান্ড অ্যাইল্যান্ডে ক্রিকেট খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিজেদের মধ্যে কোনো বিবাদ হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলে বিবাদের মীমাংসা করা হয়। সম্পাদনা: মাসুম মুনাওয়ার