৪৬ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাননি ছামিউল হক
শরিফুল ইসলাম ঝোকন, জামালপুর: যুদ্ধের ৪৬ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাননি পুলিশের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ছামিউল হক। যাচাই বাছাইয়ে কমিটিতে সাক্ষীর অভাবে মিলছে না মুক্তিযোদ্ধার সনদ। রনাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধা জীবনের শেষ সময়ে এসে স্বীকৃতির প্রতিক্ষার প্রহর গুণছেন। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার ট্রমা সেন্টারে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জীবন মরনের সন্ধিক্ষণে এই মুক্তিযোদ্ধা তার ছেলের কাছে প্রকাশ করলেন শেষ ইচ্ছা। মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি নিয়ে যেন মরতে পারি হৃদয়গ্রাহী আক্ষেপ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ছামিউল হক।প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে। ১১ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি মাহবুবুল হক চিশতির সভাপতিত্বে বকসীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হল রুমে মিটিং হয়। সভায় অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ছামিউল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ও স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ নিয়ে হাজির হয়। তবে সঙ্গী যোদ্ধারা কেউ মারা গেছে অনেকেই অন্যত্র অবস্থান করায় সাক্ষী হাজির করতে পারেননি। সাক্ষী হাজির করতে না পারায় যাচাই বাছাই থেকে বাদ পড়েন এই মুক্তিযোদ্ধা।
রংপুর পুলিশ লাইনে চাকরিরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাক পেয়ে সরকারি চাকুরির মায়া ছেড়ে চলে যান ভারতের পাতিঝুড়া যুব শিবিরে। সেখানে ট্রেনিং নিয়ে ১১নং সেক্টরে আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধে অংশ নেয়। যুদ্ধ থেকে ফিরে ফের পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়। টি এস আই থাকাবস্থায় রাজশাহী থেকে অবসর নেয়। ১৯৯০ সালে মুক্তিযোদ্ধে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এ এস এম সামছুল আরেফিনের সম্পাদনায় বই বের হয়। সেই বইতে পুলিশ সদস্য ছামিউল হকের অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান