বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছর
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বাংলাদেশে নারী-পুরুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের মানুষেরগড় আয়ু ৭১.৮ বছর। গতকাল জাতীয় সংসএদ এম আবদুললতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ’্যমন্ত্রী আরো বলেন,‘২০০৫-২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৫ বছর। বর্তমানে গড়আয়ু ৭১.৮ বছর। এরমধ্যে মহিলাদের ৭৩.১ বছর এবং পুর“ষের৭০.৬ বছর। গড় আয়ু বৃদ্ধিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপগ্রহণের ফলে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে জানিয়ে তিনিবলেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিতহয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ব সং¯’া ইতোমধ্যেই পোলিও মুক্তদেশ হিসেবে সনদ প্রদান করেছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূলহয়েছে। নবজাতকের টিটেনাস বাংলাদেশে নেই। যক্ষানিয়ন্ত্রণে রোগ সনাক্তকরণ ও ডটস পদ্ধতিতে চিকিৎসাপ্রদান জোরদার এবং কার্যকর করা হয়েছে। সব সংক্রামকরোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উ”চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, ক্যান্সারইত্যাদি অসংক্রামক রোগ অন্যতম সমস্যা হবে উল্লেখ করেতিনি বলেন, ‘এজন্য অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণকেঅধিকতর গুর“ত্ব দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকেরমাধ্যমে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ প্রাথমিক পর্যায়েসনাক্তকরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কারণে দেশেরমানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। মোহাম্মদ নাসিম
বলেন, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বা¯’্য চ্যালেঞ্জমোকাবেলায় সরকারের যথোপযুক্ত কর্মসূচি রয়েছে। যাবিশ্বের জন্য রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। সরকারি দলের সদস্য দিদার“ল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবেতিনি বলেন, প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীরদোরগোড়ার স্বা¯’্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রায় ১৩হাজার ১৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে স্বা¯’্যসেবাপ্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়নখাতে ১৩ হাজার ১১৪ জনকমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োজিত আছেন।কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাপ্রদান করা হ”েছ। কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদেরপ্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমানে ৩০ প্রকারের ঔষধ এবং২ প্রকারের পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদানকরা হ”েছ। এছাড়া ইতোমধ্যে ৯ হাজার কমিউনিটি গ্র“পগঠন করা হয়েছে। স্বা¯’্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকারক্ষমতা গ্রহণকালে দেশে মোট ১৪টি সরকারি মেডিকেলকলেজ ছিল। বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা৩১টি। অপরদিকে ২০০৯ সালে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেরসংখ্যা ছিল ৩৬টি। বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়েসর্বমোট ৬৫টি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হ”েছ।গত অর্থবছরে ওষুধ রফতানির আয় ৮৩৬ কোটি ৮১ লাখটাকা: স্বা¯’্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমবলেছেন, গত অর্থবছরে বিশ্বের ১২৩টি দেশে ওষুধ রফতানিকরে ৮৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এ আয় হয়েছে৫৪টি দেশীয় কোম্পানির ওষুধ রফতানি করে। মন্ত্রী আরো বলেন, মন্ত্রী বলেন, সরকারের আন্তরিকতা ওউদারনীতির ফলে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প অন্যতম শিল্প সেক্টরেপরিণত হয়েছে। দেশীয় চাহিদার শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগেরওবেশি ওষুধ বর্তমানে ¯’ানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। তিনিবলেন, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ওওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রফতানি হ”েছ। ওষুধরফতানির পরিমাণ ও দেশের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পা”েছ।
সরকারি দলের মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের এক প্রশ্নেরজবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নিরাপদ,মানসম্মত এবং ‘প্রপার পারফরমেন্স’র মেডিকেল ডিভাইসনিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইনঅনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, হার্টের রিং বা করোনারীস্টেন্ট একটি সংবেদনশীল মেডিকেল ডিভাইস। স্বা¯’্য ওপরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরঅনুমোদিত মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইন অনুযায়ীইতোমধ্যে অনেক হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট-এররেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশনকৃত সকল হার্টের রিং বাকরোনারী স্টেন্ট-এর মূল্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমেনির্ধারণ করে দেয়া হয়। নাসিম বলেন, হার্টের রিং বাকরোনারী স্টেন্ট-এর মূল্য পরি¯ি’তির ওপর ওষুধ প্রশাসনঅধিদপ্তরের নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যব¯’া বিদ্যমান রয়েছে।তিনি বলেন, কোন ব্যবসায়ী বা হাসপাতালের কোন ব্যক্তিবা ব্যক্তিবর্গের বির“দ্ধে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েঅধিক মূল্যে হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট বিক্রিরবিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয়ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।