পুলিশের মতো ছিনতাইকারীরাও রেকি করে
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: পুলিশের মতো ছিনতাইকারীরাও রেকি করে। স্থানীয় জনতা বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে কোন পথে ছিনতাইয়ের পর সটকে পড়া যায় সে পথটি আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে রাখে তারা। পাশাপাশি ছিনতাইকৃত টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী কোথায় রেখে পার পাওয়া যাবে সেটিও ঠিক করে রাখা হয়।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের ডিসি মাসুদুর রহমান নিজ কার্যালয়ে একান্ত আলাপকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এরা (ছিনাতইকারী) সাধারণত দিনের বেলা থেকে রাতেই বেশি অপকর্ম করে থাকে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া অবস্থানের কারণে ছিনতাই প্রবণ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছে তারা। তবে পুলিশ রাজধানীজুড়েই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। টহল পুলিশের পাশাপাশি ফুট পেট্রলের (পায়ে হেঁটে) ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন মার্কেট বা শপিং মলের সামনে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। এসব চৌকি অন্যান্য এলাকায়ও বসানো হয়।
ছিনতাই এড়াতে মানুষের সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে মাসুদুর রহমান বলেন, টাকা পয়সা বা মূল্যবান সামগ্রী বহনের ক্ষেত্রে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। যেসব এলাকায় সাধারণত ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে সেসব এলাকা ত্যাগ করা ও নিরাপত্তার জন্য একাধিক মানুষ একসঙ্গে যাওয়া দরকার। বিশেষ করে রাতে একা চলাফেরার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ দায়িত্ব পালনকারী পুলিশকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। ডিএমপির এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, থানা পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকেও অপরাধী ধরতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তাদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে মানুষের সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
অজ্ঞানপার্টি বা মলম পার্টির খপ্পর থেকে বাঁচতে সকল নাগরিককে অপরিচিত কোনো লোকের দেয়া খাবার গ্রহণ না করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এ পার্টির সদস্যরা সাধারণত খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষকে ঘনিষ্ঠ করে ফেলে। পরে সুযোগ বুঝে ডাব, চা, এমনকি মুড়ি চানাচুরের মধ্যেও চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে দেয়। এতে দ্রুত মানুষ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে লুটে নেয় টাকা পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী। সম্পাদনা: এনামুল হক