কমিউনিটি পুলিশিং পুলিশ বাহিনীকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
আজাদ হোসেন সুমন: কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর কর্মকা-কে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করার জন্য দেশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং ৬৪ জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশানা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। পুলিশ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার। এ সংখ্যা জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা তথা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট নয়। থানায় থানায় স্বেচ্ছাসেবী-যারা জনকল্যাণমূলক কাজে আতœনিয়োগ করতে চায় তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে এলাকা ভিত্তিক কমিউনিটি পুলিশের কমিটি করে দেওয়া হয়। কমিউনিটি পুলিশের কাজ হচ্ছে এলাকাভিত্তিক অপরাধ রোধে কাজ করা এবং পুলিশকে সহায়তা করা। সূত্র মতে ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করে সুফল পাওয়া গেছে। ফলে সরকার এখন এই ব্যবস্থা দেশব্যাপী চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডিআইজি মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং সহিদুর রহমান বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং একটি চমৎকার উদ্যোগ। সারাদেশে এ ব্যবস্থা চালু করা গেলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। আইনশৃঙ্খলা উন্নতি সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করলে অর্থনীতির চাকা দ্রুত ঘুরবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইনভেস্ট আসবে- দেশ উন্নত হবে। তিনি আরও বলেন, আইজিপি স্যার এই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উদ্যোক্তা। তিনি এ নিয়ে একাধিক বইও লিখেছেন। যেহেতু অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৩ লাখ বা ৫ লাখে উন্নীত করা সম্ভব নয়। কিন্তু কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে দেশের ৫ লাখ জনগোষ্ঠীকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা সম্ভব। সম্পাদনা: এনামুল হক