জালিয়াতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেন রাগীব আলী
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট: তারাপুর চা বাগানের দলিল জালিয়াতির মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে এ আপিল দাখিল করা হয়েছে। বিচারক ৮ মার্চ আপিল গ্রহণ ও জামিন শুনানির ধার্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো দ-বিধির চারটি ধারায় রাগীব আলী ও তার ছেলের মোট ১৪ বছরের কারাদ-ের আদেশ প্রদান করেন। এ আদেশে রাগীব আলী ও আবদুল হাইকে দ-বিধির ৪৬৬ ধারায় ছয় বছর, ৪৬৮ ধারায় ছয় বছর, ৪৭২ ধারায় এক বছর এবং ৪২০ ধারায় এক বছর কারাদ-ের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত নব্বই দশকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান রাগীব আলী দখল করে নিয়েছিলেন বলে তাদের পিতাপুত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রায় ৪২৩ একর ভূমির তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ওই চা বাগান দখল করতে গিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্র জালিয়াতি করেন তিনি। এ নিয়ে ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা দুটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে স্মারক জালিয়াতি ও আত্মসাৎ মামলা দুটি পুনরুজ্জীবিত করারও নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরের ১০ জুলাই রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রুজিনা কাদের, জামাতা আবদুল কাদের, নিকটাত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ও তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ গুপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত ১২ আগস্ট এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই দিনই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। গত বছরের ১২ নভেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তে গ্রেফতার হন আবদুল হাই। পরে ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে গ্রেফতার হন রাগীব আলী। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান