বরিশালের ৮ রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট
বরিশাল প্রতিনিধি: সড়কে থ্রি-হুইলার যানচলাচল বন্ধ ও আমতলীতে আটক ১৮ বাস শ্রমিকের মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মালিক সমন্বয় সমিতির আহবানে বরিশালের আঞ্চলিক আটটি রুটে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট।
বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা সদরের চৌরাস্তার মোড়ে থ্রি-হুইলার যানচালকদের মধ্যে বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এসময় বরগুনা মালিক সমিতির একটি বাস পুড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনায় ১৮ বাস শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। আটকদের মুক্তি ও মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যানচলাচল বন্ধের দাবিতে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিক সমিতির নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের কাছে দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এরমধ্যে কোনো প্রতিকার না হওয়ায় গতকাল সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা চাচ্ছেন না যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়–ক। প্রশাসন তাদের সাথে বসে দাবির সমাধান করলেই ধর্মঘট তুলে নেওয়া হবে।
আমীর হামজা ও কবির মৃধা নামের দুই শ্রমিক বলেন, তাদের চেয়ে আলফা-মাহিন্দ্রা অটো শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি বলে সড়কে ইচ্ছামাফিক স্ট্যান্ড করে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। এতে করে তাদের গাড়ি চালাতে সমস্যা হয় এবং প্রতিবাদ করলে বাস শ্রমিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর করে অবৈধ থ্রি-হুইলারের শ্রমিকরা। ফলে সড়কে বাস চালাতে তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলেই তারা বাস চালাবেন। বাস ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে বরিশালের রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে বাউফল, দশমিনা, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, বরগুনা, আমতলী, নিয়ামতি ও বাকেরগঞ্জ রুটে বাস চলাচল করছে না। যে কারণে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাস ধর্মঘটের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান জানান, এ নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে মালিক বা শ্রমিক নেতারা তাকে অবহিত করেনি। তবে যাত্রীদের কথা বিবেচনায় এনে তিনি দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান