জাপানের অর্ধেক দম্পতির মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক নাই
পরাগ মাঝি: নতুন একটি জরিপে দেখা গেছে, জাপানের প্রায় অর্ধেক দম্পতি কোনো প্রকার যৌনতা ছাড়াই দিন যাপন করছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ২২ শতাংশ জাপানি নারী যৌনতাকে বিরক্তিকর বলে উল্লেখ করেছে। আর দেশটির ৩৫.২ শতাংশ পুরুষ মনে করে কাজের পর ক্লান্তির জন্য এ ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।
জাপানের পরিবার পরিকল্পনা সংস্থার পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, জরিপে বিবাহিতদের মধ্যে রেকর্ড ৪৭.২ শতাংশ জাপানি নারী-পুরুষ গবেষকদের জানিয়েছে বিগত একমাসের মধ্যে তারা কোনো প্রকার যৌনতায় অংশ নেননি এবং তারা এও জানায় অদূর ভবিষ্যতে এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না। পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে মূলত দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং কম জন্মাহার নিয়ে গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ছিলো জরিপটি। জরিপে ১৬ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৬৫৫টি বিবাহিত দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০১৪ সালে পরিচালিত একটি জরিপের চেয়ে সর্বশেষ জরিপে যৌন বহির্ভূত দম্পতির সংখ্যা ২.৬ শতাংশ বেড়েছে। আর দেশটিতে ২০০৪ সালে পরিচালিত একই ধরনের ‘বেডরুম হেভিট’ নামের একটি জরিপের চেয়ে যৌন বহির্ভূত দম্পতির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩১.৯ শতাংশ।
জরিপকারী সংস্থাটির প্রধান কুনিও কিতামুরা বলেন, ‘যৌন বহির্ভূত বৈবাহিক সম্পর্ক আরও বেড়েছে- জরিপ ফলাফলের পর জাপানি গণমাধ্যমের শিরোনাম ছিলো এই।’
২০১৪ সালে যেখানে ২১.৩ শতাংশ জাপানি পুরুষ যৌনতা না করার জন্য কাজকে দায়ী করেছিলো সেখানে মাত্র দু’বছরের ব্যবধানেই এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.২ শতাংশে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেক পুরুষই মত দিয়েছিলো যে, তারা তাদের স্ত্রীকে প্রথমত: পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই দেখে। তাদের অনেকেই জানিয়েছিলো- সন্তান হওয়ার পর থেকেই যৌনতায় তারা কোনো তাগিদ অনুভব করেন না।
ড. কিতামুরা বললেন, ‘এবারই প্রথম ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ সেক্স না করার জন্য কাজের ক্লান্তিকে দায়ী করেছে। তাই এই দিকটিতে আমাদের নজর দেওয়া উচিত।’
জাপানের জনসংখ্যা এবং সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার গবেষকরা এর আগে দেখেছিলেন, বিয়ে বিমুখতায় দেশটিতে উল্লেখযোগ্য হারে কুমার-কুমারীদের সংখ্যা বাড়ছে। ৫ হাজার জাপানির উপরে পরিচালিত ওই জরিপে তারা দেখেছিলেন, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ শতাংশ নারীর যৌনতা বিষয়ক কে নো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।
ধারাবাহিকভাবে জাপানের জনসংখ্যা কমতে থাকায় দেশটির নারী-পুরুষ সম্পর্কগুলোকে পুনরায় যাচাই করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট