ফার্স্ট লেডির জীবন চাননি মেলানিয়া ট্রাম্প
লিহান লিমা: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির স্ত্রী, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ফ্যাশন জগতের সেরা আইকন কে না হতে চাইবেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গসিপ ম্যাগাজিন ‘ইউএস উইকলি’ বলছে, ফার্স্ট লেডি হিসেবে সন্তুষ্ট নন মেলানিয়া ট্রাম্প।
তিনি এই দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বিব্রত বোধ করছেন।’ মেলানিয়ার ফ্যাশন জগতের বন্ধু ফিলিপ ব্লোচের বরাত দিয়ে ইউএস উইকলি এ খবর জানায়। তাতে ফিলিপ বলেন, এই জগতের স্বপ্ন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছিল, মেলানিয়ার নয়।’ ২০০৫ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ের পর রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখান নি মেলানিয়া। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রীয় কার্যাবলি নিয়ে ব্যস্ত, মেলানিয়া নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে আগের চেয়েও গোপনীয়ভাবে জীবন যাপন করছেন।
১০ বছরের পুত্র ব্যারনের স্কুল এবং পড়ালেখা নিয়েই সময় কাটাচ্ছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। তবে ফ্লোরিডার পাম বিচে তাকে অনেক হাসি খুশি দেখা যায়। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী অ্যাকিই অ্যাবের সঙ্গে স্থানীয় চার্চেও হাসি খুশি উচ্ছল দেখা যায় মেলানিয়াকে। ইউএস উইকলি জানায়, তার হাসি মাখা মুখ দেখে বোকা বনে যাবেন না, কারণ তিনি এটি ঘৃণা করেন।
হোয়াইট হাউসের সাবেক সোশ্যাল সেক্রেটারি অ্যান স্টক ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, প্রত্যেক প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি মূলত প্রথমে তার পরিবারকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দেবেন।’
মূলত ফার্স্ট লেডির বিষয়টি ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। তিনি কিভাবে ভূমিকা পালন করবেন সেই সিদ্ধান্ত শুধুই তার। দেশটির বিধানে ফার্স্ট লেডির কোন আলাদা পদ বা দায়িত্বের কথা উল্লেখ নেই।
এই ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ট্রাম্পের ওভাল অফিসে প্রবেশের পর মেলানিয়া মূলত তার ফার্স্ট লেডির অবস্থানকে ব্যবহার করে নিজের ব্র্যান্ডকে জনপ্রিয় করে তুলতে চেয়েছেন। হোয়াইট হাউসের পুলে প্রবেশ করে দেখা যায়, এই পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের অন্যান্য ফার্স্টলেডির চেয়ে তার জনপ্রিয়তা সবচেয়ে কম। ইন্ডিপেনডেন্ট, সম্পাদনা: রাশিদ