রাজধানীতে মাংস বিক্রির ধর্মঘটেও বন্ধ নেই পশু বেচাকেনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে গরু-ছাগলের মাংস বিক্রি। মাংস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, বিয়ে কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। তবে মাংস বিক্রেতাদের ধর্মঘট চললেও স্বাভাবিকভাবেই চলছে পশু বেচাকেনা। রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে গত ৫ দিনে কমপক্ষে দুই হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রি হয়েছে। বাজারের ইজারাদাররা এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সরজমিনে দেখা গেছে, গাবতলীর হাটে পশু বেচাকেনায় প্রভাব না পড়লেও হাট-বাজারে মাংসের দোকান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ছেন ভোক্তারা। তারা বলছেন, হাটে মাংস মিলছে না। জাগো নিউজ
কোথাও পাওয়া গেলেও দাম নিচ্ছে অনেক বেশি। এদিকে গরু, ছাগলের মাংস বিক্রি বন্ধ থাকার সুযোগ নিচ্ছে মুরগি ও মাছ ব্যবসায়ীরা। ঢাকা মহানগর মাংস বিক্রেতা সমিতির অভিযোগ, গত আট মাস ধরে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি অর্থ আদায় করছেন গাবতলী পশুর হাটের ইজারাদাররা। প্রতিটি গরুর জন্য বাড়তি দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের। তাই মাংসের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। তবে হাট কমিটির ইজারাদাররা বলেন, কসাইদের ধর্মঘটের মধ্যে পশু বিক্রিতে প্রভাব পড়েনি।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই বেচাকেনা চলছে। বরং মাংস ব্যবসায়ীদের কারণে গরুর ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনতে হচ্ছে। গরু কিনে মাংস বিক্রি না করে ধর্মঘটের মধ্যে আস্ত গরু বিক্রির ব্যবসা করছেন। সকালে রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে দেখা যায়, হাটে বিপুল সংখ্যক গরু, মহিষ ও ছাগল ওঠেছে। অনেকটা আয়েশি ভঙ্গিতে আছেন ব্যবসায়ীরা। মাংস বিক্রেতাদের জন্য গরু কেনাচেনা করেন মো. হিরু মিয়া। তিনি জানান, হাটে যে পরিমাণ গরু ওঠছে তার চেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, দীর্ঘ আট মাস ধরে ইজারাদারদের নানা অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধের জন্য অনেক অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (শনিবার) সকাল ১১টায় ব্যবসায়ীদের ডেকেছেন।