আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচি
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিবছরের মতো এবারও ২১ ফেব্র“য়ারিকে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করবে সরকার। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২১ ফেব্র“য়ারি দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে সঠিক নিয়মে ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সংগতি রেখে মাদ্রাসাসহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরানখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাতের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দিবসটি পালনে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উ.পলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপসমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক স্থানসমূহে বাংলা বর্ণমালা সংবলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে। সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ একুশের অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হবে। রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানসহ সবাই পূর্বের ঐতিহ্য বজায় রেখে যাতে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকায় বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিগণ শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করতে পারে, সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, আর্কাইভস্ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রন্থমেলা, আলোচনাসভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।সম্পাদনা: হাসান আরিফ