‘চিংড়ির কেজি ১০ টাকা!’
মাহফুজ জুয়েল, নিঝুম দ্বীপ থেকে ফিরে
চোখে না দেখলে কেউই বিশ্বাস করবেন না। সম্ভবত আমিও করতাম না। নিঝুম দ্বীপের নামার বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা করছি। আমাদের ৯ সদস্য বিশিষ্ট ভ্রমণ দলের একজন এসে বলল, চিংড়ি মাছ কিনতে চাও তো মাছ বাজারে যাও! এখানে ছোট সাদা চিংড়ির দাম কেজি প্রতি মাত্র ১০ টাকা!
রেস্টুরেন্টের মালিক পাশেই ছিলেন। তিনিও সায় দিলেন। বললেন, ‘হ, দশ ট্যাকাই। এই দরেও কিনার কেউ নাই। আমরা এই ছুডু ইঁচারে কই বুসি (ভূষি)। এইডা ঢাকায় ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর এর শুটকি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে।’
নাস্তা শেষে এক প্রকার দৌড়ে গেলাম মাছ বাজারে। ছোট্ট একটা বাজার। সেখানে রীতিমতো ভিড়। ইলিশ, চেঁউয়া আর ছোট সাদা চিংড়িÑ এই তিন প্রজাতির মাছই বেশি চোখে পড়ল। ইলিশের দামও অবিশ্বাস্যরকম কম। মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি! ইলিশের আকার জাটকার চেয়ে সামান্য একটু বড়। চেঁউয়া ৫০ টাকা কেজি। আর ‘বুসি’ ১০ টাকা কেজি। বুসি বা ছোট সাদা চিংড়ির ভর্তা/বড়া অনেক সুস্বাদু হয়। আমরা দেরি না করে ২ কেজি কিনে ফেললাম। সঙ্গে আরও ২ কেজি ইলিশ এবং ২ কেজি চেঁউয়া। খবর পেয়ে ভ্রমণসঙ্গীরা প্রায় সবাই মাছ বাজারে এসে হাজির। তাদের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক। কেননা, দেশি ভাত-মাছে দুপুরের খাবারটা ‘সিরাম’ হবে।
লেখক: কবি, সাংবাদিক ও আন্দোলনকর্মী
সম্পাদনা: আশিক রহমান