সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা
মাসুদ মিয়া: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময় মূল্যসূচকসহ বাজার মূলধন, আর্থিক লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা।
এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮ পয়েন্ট বা ১.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ২১ পয়েন্ট বা ১.৬৫ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট বা ১.২৬ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ১৪৭ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ শতাংশ বেড়েছিল। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৬টি বা ৫৬.০২ শতাংশ কোম্পানির। আর দর কমেছে ১২৬টি বা ৩৭.৯৫ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি বা ৬.০২ শতাংশ কোম্পানির।
এদিকে গত সপ্তাহে মোট ৫ হাজার ৩৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৩ হাজার ৬৮৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৬৬৩ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বা ৪৫.১২ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯২.৬৬ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৬৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৩.২৩ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.৪৩ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৮ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ১.২৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। এ সময় কোম্পানির ২৬১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪.৮৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বারাকা পাওয়ারের লেনদেন হয়েছে ১৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৩১ শতাংশ। ১৪৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এ্যাপোলো ইস্পাত। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- আইডিএলসি ফাইন্যান্স, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, এসিআই ফরমুলেশনসের, আরএসআরএম স্টিল, ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস ও বেক্সিমকো।