রুশ গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে নয়া বিতর্কে ট্রাম্প
নূসরাত জাহান : যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে গোপনে আলোচনা করার অভিযোগ ওঠায় পদত্যাগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। একই অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের নির্বাচনি শিবিরের কয়েক জনের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগ এনেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
এফবিআই সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ফোন রেকর্ড খতিয়েও দেখেছে। এফবিআই বলেছে, নির্বাচনি প্রচারের সময়ে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটিতে রুশ হ্যাকিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তখনই জানা গিয়েছিল ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রুশ গোয়েন্দা কর্তাদের টেলিফোনে যোগাযোগের বিষয়টি। নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে রুশ হ্যাকারদের সঙ্গে ট্রাম্প শিবির যোগাযোগ করছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছিল।
এফবিআই তখন জানায়, এমন কোনো যোগাযোগের প্রমাণ তারা পায়নি। তবে রুশ গোয়েন্দাদের সঙ্গে ট্রাম্পের কাছের লোকজন যোগাযোগ রাখছে।
ওই সময় এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর এফবিআইকে উদ্দেশ করে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিতে এনএসএ বা এফবিআইয়ের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। যেসব ভুল সিদ্ধান্তে হিলারি ক্লিনটন হেরেছে, সেই ভুল স্বীকার না করে অন্য কিছু ইস্যু করতে চাইছে তারা।’
তবে এফবিআইয়ের দাবি, তারা এই যোগাযোগের খুব সামান্য অংশই বিচার বিভাগের হাতে তুলে দিতে পেরেছে।
ফ্লিন ছাড়াও রুশ গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ এনেছে আরেক উপদেষ্টা পল মানাফোর্ট বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের নির্বাচনি শিবিরের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ইউক্রেনে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। তবে এফবিআইয়ের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন মানাফোর্ট । তিনি বলেন, ‘এটা অবাস্তব। আমি কখনোই রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলিনি। রুশ সরকার বা পুতিন প্রশাসনের কোনো বিষয়ে আমি জড়িত ছিলাম না।’
গত মাসেই মার্কিন গোয়েন্দাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে আংশিক হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া। তবে এ প্রক্রিয়ায় ট্রাম্প শিবিরের কারও হাত ছিল না কিনা তা বলা হয়নি। মানাফোর্ট ছাড়া ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ তিনজনের ওপর নজর রেখেছিল এফবিআই। তারা হলেন, কার্টার পেজ যিনি ট্রাম্প শিবিরের পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা। রিপাবলিকান অনুগত রজার স্টোন এবং মাইকেল ফ্লিন। এফবিআইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এ তিনজন। তবে অভিযোগ ওঠার কারণে ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দেওয়ার তিন সপ্তাহের মাথায় তাকে নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
এফবিআইয়ের নয়া তথ্যে রুশ যোগাযোগের প্রমাণ ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। সব দেখে রুশ পার্লামেন্টের এক সদস্যের মতে, ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সূত্র: অলটারনেট। এফএ। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী