ভ্রমণে নিরাপদ থাকার আমল
তাহমিনা রহমান
আমরা প্রায়ই ভ্রমণ করে থাকি। ব্যবসায়ী কাজ বা চাকরির প্রয়োজন ছুটে চলি এক শহর থেকে অন্য শহরে। প্রফুল্ল মন বা শারীরিক সুস্থতার জন্যও মাঝে মধ্যে ভ্রমণ করা উচিত। ভ্রমণ মানুষের মনের পরিধিকে বিস্তৃত করে। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের ভ্রমণ করতে বলেছেন; যেন তারা স্বচক্ষে দেখতে পারে সৃষ্টির বিশালতা ও দুনিয়ার রূপ। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আপনি বলুন! (হে প্রিয় হাবিব) তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখ, কীভাবে সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। [সুরা আনকাবুত : ২০]
ভ্রমণে বিভিন্ন বাহন ব্যবহার করতে হয় আমাদের। এক্ষেত্রে বাস, লঞ্চ, বিমান ইত্যাদি দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকতে কিছু আমল করা চাই। নবীজি সা. ভ্রমণে বের হলে সাওয়ারি বা বাহনের ওপর চড়ে এ দোয়া পড়তেনÑ ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সুবহানাল্লাজি ছাখ্খারালানা হা-যা ওয়া-মা কুন্না লাহু মুকরিনিনা ও ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন।’
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে শুরু করেছি যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও বড় মেহেরবান। তিনি পূত-পবিত্র ওই সত্তা যিনি সাওয়ারি বা বাহনকে আমার অধীনস্ত করে দিয়েছেন। আমাদের কাছে তাকে আয়ত্বে আনার ক্ষমতা ছিল না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।’
আর ভ্রমণে বের হওয়ার আগে নবীজি এই দোয়া পড়তেনÑ ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ান আলাইনা সাফারনা হা-যা ওআতয়িলানা বুআদাহু, আল্লাহুম্মা আনতাসাহিবু ফিস্সাফারি, ওয়াল খালিফাহ ফিল আহলি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিন ওয়াছায়িস সাফারি ওয়া-কা-বাতিল মানজারি, ওয়া সোয়িল মুনকালাবি ফিল মা-লি, ওয়াল আহলি ওয়াল ওলাদি।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের নিকট আমাদের এ সফরকে সহজ করে দাও। রাস্তার দূরত্বকে সংক্ষিপ্ত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সফরের সাথি এবং তুমি আমাদের স্থলাভিষিক্ত আমাদের আহালের জন্য। হে আল্লাহ! তোমার নিকট সফরের কষ্ট থেকে পানাহ চাই। তোমার নিকট পানাহ চাই পুনরায় এসে আহল, মাল, অধীনস্তদের খারাপ অবস্থা দেখা থেকে।’ [মকবুল দোয়া : ১৩১]