সাংবাদিকদের সঙ্গে নৈশভোজেও ‘না’ ট্রাম্পের
ডেস্ক রিপোর্ট : অপছন্দের মিডিয়াকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে গত শুক্রবারই বিতর্কে জড়িয়েছিল হোয়াইট হাউস। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বোমা। আর তা ফাটালেন প্রেসিডেন্ট নিজেই। এ বছর হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট অংশ নেবেন ধরে নিয়ে গত কাল যে অনুষ্ঠান নিজেরাই বয়কট করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন দেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। ২৯ এপ্রিল ওই নৈশভোজ হওয়ার কথা। প্রায় একশো বছর ধরে যেমনটা আয়োজন করে আসছে হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। আনন্দবাজার
তবু নৈশভোজ হচ্ছেই। হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেফ ম্যাসন তেমনটাই জানিয়েছেন। ট্রাম্পের এই অনুষ্ঠান বয়কট প্রসঙ্গে তার মন্তব্য ‘সংবাদমাধ্যমকে আগেই যিনি গণশত্রু তকমা দিয়ে বসে আছেন, তার পক্ষে কিছুই আশ্চর্য নয়।’ শুক্রবার হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক বৈঠকে ঢুকতে না পেরে এখনও ক্ষোভে ফুঁসছেন সিএনএন, বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। এরই মধ্যে নয়া বিতর্ক উস্কে দিয়ে প্রেসিডেন্ট। বুঝিয়ে দিলেন যুদ্ধই চলছে।
আরও পড়ুন: সভ্যতাকে উল্টো দিকে ফেরানোর এই চেষ্টা অনর্থ ডাকবে!
ট্রাম্পের আগে সাংবাদিকদের এই নৈশভোজ বর্জন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। ১৯৭২-এর ঘটনা। ১৯৮১ সালের নৈশভোজে যোগ দেননি প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানও। অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু টেলিফোনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন সভায় উপস্থিত প্রত্যেককে। আজকের টুইট-বার্তায় এপ্রিলের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। কিন্তু তাতে চিঁড়ে যে ভিজছে না। বরং কেন তিনি নৈশভোজ বয়কট করছেন— ঘুরছে নানা জল্পনা।
২০১১-র নৈশভোজে ট্রাম্প এসেছিলেন। অতিথি হয়ে। রিয়েল এস্টেটের পাশাপাশি তখন সবে রাজনীতির দুনিয়ায় পা রাখার কথা ভাবছেন ট্রাম্প। ভরা সভায় সে বার তাকে নিয়ে ঠাট্টা করেছিলেন সভার উপস্থাপক। সূত্রের খবর, যাতে সায় দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। অতিথি আসনে পাথরের মতো মুখ করে বসেছিলেন ট্রাম্প। সে দিনের তিক্ত স্মৃতি ভোলেননি ট্রাম্প। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ