সংকট উত্তরণে শেখ হাসিনার সাফল্য
মিল্টন বিশ্বাস
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর সেই নির্মম ঘটনার বিচারের রায় ঘোষিত হয়। ১৫২ জন অপরাধীকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোসহ অন্যান্য সাজার রায় আমাদের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্ব শর্ত হলোÑ অপরাধীদের শাস্তির বিধান করা। সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার উৎসও এটি। উপরন্তু নির্বাচনি ইশতেহারের অঙ্গীকার পূরণ করায় সরকারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকহারে। নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে এবং অনেকেরই সাজার রায় ঘোষিত হয়েছে; আর সেসব অপরাধীদের রায় কার্যকর করাও হয়েছে। সুশাসনের অন্যতম স্তম্ভ দুর্নীতিহীন প্রশাসন। এজন্য স্বাধীন ও কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়েছে। দুর্নীতির তদন্ত, অনুসন্ধান, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুদক প্রয়োজনে মন্ত্রী, আমলাসহ যেকোনো ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় বর্তমান সরকারের আমলে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সার্চ কমিটির সুপারিশে শক্তিশালী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। নির্বাচন কমিশনের আর্থিক ক্ষমতা ও লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা তথা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এই সরকারের অধীনে কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। ২০১৩ সালের ৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএন টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে বলে যে বিতর্ক চলছে, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আইন তার নিজের গতিতে চলবে। অপরাধী অপরাধীই। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। এটি জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার।’ এই অঙ্গীকার আছে বলেই বর্তমান সরকার যেকোনো সংকট মোকাবিলা করে জনপ্রিয় থাকতে পারছে। জনগণের আস্থা তাদের ওপর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সহিংসতামুক্ত দেশ দেখে আমরা অভিভূত। এদেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। (শেষ)
লেখক: অধ্যাপক এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনা: আশিক রহমান