সম্প্রীতির নজির, পাকিস্তানে শিবরাত্রি
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতিবছরের মতো এবছরও ধুমধাম করে শিবরাত্রি পালিত হয়েছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া–তে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়ে প্রতিবারের মতো এবারও হিন্দুদের এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন পাকিস্তানের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। সরাসরি পুজোতেও অংশগ্রহণ করেছেন তারা। এবারই প্রথম নয়, হিন্দু ও মুসলিমদের একসঙ্গে শিবরাত্রি পালনের প্রথা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে পাখতুনখোয়ার ঝা-াবাজার এলাকায়। তবে সন্ত্রাসবিক্ষত পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে এবারের উৎসব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এই অনুষ্ঠানে যাতে কোনও ঝামেলা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক ছিল প্রশাসন। কড়া পুলিশি প্রহরার আয়োজন করা হযেছিল। বিশৃঙ্খলা এড়াতে খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুম। সিসিটিভি এবং স্ক্যানারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। আজকাল
আত্মঘাতী হামলার মোকাবিলা করতে পারদর্শী, এরকম আধা সেনাকেও তৈরি রাখা হয়েছিল। ওই অঞ্চলের এক মুসলিম ধর্মাবলম্বীর দাবি, বহুদিন ধরেই এই অনুষ্ঠানে হিন্দু–মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই অংশ নিয়ে আসছেন। ওই শিব মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শিবনাথ শর্মার কথায়, ‘সারা দেশের মতো এখানেও পালিত হয় শিবরাত্রি। তিনদিন ধরে হয় এই অনুষ্ঠান। প্রথম দিনে মন্ত্র উচ্চারণ করে শিবের পুজো হয় অনেক রাত পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিনে মন্দির ঢাকা দিয়ে কাপড় বদলানো হয়। তৃতীয় দিনে হয় সাম্প্রদায়িক মিলনের উৎসব।’ বলবন্ত রাম নামে এক স্থানীয় ব্যক্তির মন্তব্য, ‘স্থানীয় ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং প্রশাসনের সাহায্য না পেলে এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব না। প্রত্যেকের সাহায্যে আমরা নির্ভয়ে মন্দিরে পুজোয় অংশ নিতে পারি। শুধু তাই নয়, স্থানীয় ভিন্নধর্মের লোকরাও এই মন্দিরটিকে খুবই শ্রদ্ধার চোখে দেখেন।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ