পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন দলের নেতারা ভবিষ্যতে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে
আল হেলাল শুভ: সারাদেশে দুই দিন ধরে পরিবহন ধর্মঘটে ব্যাপক জনভোগান্তি ‘অনাকাক্সিক্ষত’। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে এ জন্য ভবিষ্যতে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। এমনটাই মনে করে আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দল ও অন্য দলের নেতারা।
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দুই দিন পরিবহন ধর্মঘট চলার পর গতকাল দুপুরে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান সরকারের অনুরোধের পর থেকে যান চলাচল শুরু করে শ্রমিকরা। এর আগে গত দুই দিনে দেশে ব্যাপক জনভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। পরে দুপুরে মতিঝিলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কার্যালয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, এখন যানবাহন চলাচলের জন্য মালিক ও শ্রমিক ভাইদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করছি, সারাদেশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
ধর্মঘটের বিষয়ে জাসদের একাংশের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, সরকারের দায়িত্ব আছে। তাদের আরও তৎপর থাকা উচিত ছিল। ভবিষ্যতে সরকারকে আরও সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা। শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই কিছু আইন মেনে চলতে হয়। দেশের সংবিধান ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা উচিত। এ প্রসঙ্গে গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিম-লীর সদস্য নূরুর রহমান সেলিম বলেন, পরিবহন ধর্মঘট ছিল একটা অনাকাক্সিক্ষত। যা অবিবেচক হিসেবে প্রতিয়মাণ হয়। আমরা আশা করবো এটা নিয়ে যেন কোনো নৈরাজ্য না হয়। সরকারকেও এ ধরনের ঘটনা থেকে সংকট যেন না হয় তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মঘট না ডেকে আদালতেই তার জন্য আবেদন করা উচিত বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এটা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের দাবিসমূহ সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্যও সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, মালিক-শ্রমিক ঐক্যের নামে একজন মন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিলেন তা নৈরাজ্যজনক। তিনি বললেন, শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছে। কিন্তু তার সিদ্ধান্তে যখন শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন তখন বোঝা গেল তার বক্তব্য কতটা স্ববিরোধী। তার সঙ্গে এও প্রমাণ হয়ে গেল যে প্রকৃতপক্ষে তিনি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।