মহেশখালী-বদরখালী চ্যানেলে একাধিক ডুবোচর, কার্গো চলাচলে দুর্ভোগ
এম রায়হান চৌধুরী চকরিয়া(কক্সবাজার) : প্রতিবছর বর্ষাকালে উজান থেকে নেমে আসা বানের পানিতে পলি জমে মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বদরখালী চ্যানেলের ছিরাদিয়া পয়েন্টের বাঁেক চরম নাব্যতা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই পয়েন্টে জেগে উঠেছে একাধিক ডুবোচর। এতে করে গেল কয়েকবছর ধরে ওই এলাকায় পণ্যবাহী ভারী জলযান চলাচলে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে শুস্ক মৌসুমে নৌপথে লবণ বোঝাই কার্গো ট্রলার চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, প্রতিবছর লবণ উৎপাদন মৌসুম শুরু হলে নিরাপদ ও পরিবহনের সহজ মাধ্যমে হিসেবে কক্সবাজার অঞ্চলের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী নৌপথে কার্গো ট্রলারযোগে লবণ পরিবহন করে আসছে। একইভাবে চলতিবছরও ইতোমধ্যে কক্সবাজার উপকুলের বেশির এলাকা থেকে কার্গো ট্টলার করে চট্টগ্রাম, ঝালকাঠি, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় লবণ পরিবহন শুরু করা হয়েছে। লবণ ব্যবসায়ী, কার্গো ট্টলার মালিক ও মাঝিরা জানিয়েছেন, লবণ বোঝাই করে নৌপথ অতিক্রমকালে মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বদরখালী চ্যানেলের ছিরাদিয়া পয়েন্টের বাঁেক ডুবোচরে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। একবার লবণবোঝাই একটি ট্টলার আটকা পড়লে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ঘন্টা ওই পয়েন্টে বসে থাকতে হচ্ছে। এতে ক সময় ও অর্থ দুটির ক্ষতি হচ্ছে । কার্গো মালিক, মাঝি ও লবণ ব্যবসায়ীরা বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন না করলে অদূর ভবিষ্যতে নৌপথে পণ্যবাহী জলযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এতে লবণ ব্যবসায়ী, কার্গো ট্রলার মালিক ও মাঝিরা চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হবেন। পাশাপাশি বড় ধরনের বির্পযয় দেখা দেবে জাতীয় অর্থনীতিতে। এদিকে বর্তমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে অবিলম্বে মহেশখালী ও বদরখালী চ্যানেলের ছিরাদিয়া পয়েন্টে খননের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কার্গো বোট ও লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মকছুদ আহমদ চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ সরওয়ার আলম। তারা বলেন, দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদন এলাকা হচ্ছে কক্সবাজার। প্রতিবছর কক্সবাজার থেকে নিরাপদ ও সহজ মাধ্যম হিসেবে নৌপথে লাখ লাখ মেট্রিক টন লবণ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হচ্ছে। নদীর গভীরতা থাকার কারণে আগে কার্গো ট্রলারযোগে লবণ পরিবহন করা সহজ হতো। কিন্তু এখন নাব্যতা সংকট হওয়ায় প্রতিনিয়ত লবণ বোঝাই কার্গো ট্টলার চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমানে মখেশখালী-বদরখালী চ্যানেলের ছিনাদিয়ার বাঁক পয়েন্টটি বিপদজনক হয়ে পড়েছে।
মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নির্মাণ কাজের মালামাল আনা নেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো মহেশখালী-বদরখালী নদীটি। তাই সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে চলাচল পথটি নিরাপদ করতে এবং লবণ ব্যবসায়ী ও ট্টলার মালিক এবং মাঝি-মাল্লাদের ভাগ্য উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি তাদের । সম্পাদনা : মুরাদ হাসান