সিলেটের দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রুল
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট: আলোচিত দুদকের উপসহকারী পরিচালক রনজিত কর্মকারের বিরুদ্ধে কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ আদায়সহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না কেন-মর্মে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। ২ সপ্তাহের মধ্যে দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে লিখিত জবাব দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার বদরুল আলম চৌধুলীর দায়ের করা রিট মামলায় (২৩১৯/২০১৭) বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন। দুদকের লিখিত জবাব দাখিলের পর আগামী ২১ মার্চ আদালত আবার শুনানি গ্রহণ করে পরবর্তী নির্দেশনা দেবে বলেও আদেশে জানিয়েছেন। সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার বদরুল আলম চৌধুরীকে বিনা মামলা ও বিনা ওয়ারেন্টে সিলেট আলমপুরস্থ জুনাল অফিসে কর্মরত অবস্থায় ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর দুদকের উপসহকারী পরিচালক রনজিকত কুমার কর্মকার আটক করে কোম্পানীগঞ্জ থানার একটি কথিত মামলায় ফরওয়ার্ডিং দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।
২৪ অক্টোবর সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান প্রকাশ্যে আদালতে কোম্পানীগঞ্জ থানার দুদকের ফরওয়ার্ডিংয়ে উল্লিখিত ২৩ নম্বর মামলা তার আদালতে বিচারাধীন ও এ মামলায় বদরুল আলম চৌধুরী নামের কোনো আসামির অস্তিত্ব নেই বলে আদেশ দিয়ে বলেন, গ্রেফতারকৃত বদরুল আলম চৌধুরীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক। আদালতের ৩৫ নম্বর আদেশে ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর ১ম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা বদরুল আলম চৌধুরী কারাগার থেকে মুক্তি পান। দুদকের এসব বেআইনি কর্মকা-ের চ্যালেঞ্জ করে বদরুল আলম চৌধুরী হাইকোর্টে রিট করেন। সোমবার হাইকোর্টে রিট মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাড. দিদার আলম কল্লোল ও অ্যাড. রফিকুল হাসান। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান