কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ট্রাম্পের ভাষণে মুগ্ধ ৭৮ শতাংশ
লিমা ও রবিউল: মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম ভাষণেই বাজিমাত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বভাবের বিপরীতে শান্তভাবে কথা বলা ছাড়াও হুটহাট ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য না করে প্রশংসিত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে এতেও জড়িয়ে গেছেন ফার্স্ট ডটার ইভানকা ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্পের ভাষণের ফরম্যাট তৈরি করতে টানা ১০ দিন ধরে পরিশ্রম করেছেন প্রেসিডেন্ট কন্যা ইভানকা ট্রাম্প। কংগ্রেসের ভাষণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা এক জাতি একই পথে যাত্রা করছি, আমাদের শরীরে একই রক্ত বইছে, আমরা এক পতাকার নিকট মাথা নত করি এবং আমরা সবাই একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি।’ জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির এই আহবানকে মার্কিন নাগরিকরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে ৭৮ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পের ভাষণের প্রশংসা করেছেন। এর মধ্যে ৫৭ ভাগ উচ্চ শ্রেণীর আর বাকি ২১ ভাগ সাধারণ মানুষ। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও ট্রাম্প আক্রমণাত্মক বক্তৃতা না দেয়ার জন্য তার প্রশংসা করেছে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, ‘ট্রাম্পের ভাষণ কেমন হবে সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ইভানকা ট্রাম্প। ১ মাস থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন তিনি। তবে শেষ ১০ দিনে ভাষণকে যথাযথ আকার দিয়েছেন।’ নাম না প্রকাশ করার শর্তে হোয়াইট হাউসের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মার্কিন গণমাধ্যমকে এই কথা জানায়।
নিজের নীতি অবিচল থেকে কৌশলগত অবস্থান ও সহনশীলতা বজায় রেখেছেন ট্রাম্প। ভাষণের আগে ওভাল অফিসে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিবাস এবং চিফ স্পিচ রাইটার স্টিফেন মিলারসহ পরামর্শদাতাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দুই প্রধান পরামর্শদাতা ইভানকা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার। ওই বৈঠকেই ভাষণের বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ৬০ মিনিট ৮ সেকেন্ডের এই দীর্ঘ ভাষণ ট্রাম্পের জন্য জরুরি ছিল। কারণ ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বাবার পরামর্শদাতা ছিলেন ইভানকা। ট্রাম্পের পারিবারিক ও শিশু বিষয়ক নীতির পেছনে ট্রাম্প নিজে ইভানকার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। নারী অধিকার বিষয়ে ট্রাম্পকে সচেতন করছেন ইভানকাই। তাকে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ফার্স্ট ডটার বলে উল্লেখ করা হয়। সিএনএন, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও গার্ডিয়ান অবলম্বনে, সম্পাদনা: রবিউল