একযুগেও টেংরাটিলাবাসীর আতঙ্ক আর দুর্ভোগ কাটেনি
মাকসুদা লিপি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৫ গ্রামের মোট ৬১৬ পরিবার। কিন্ত্র এসব পরিবার এখনও তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় এখনও টেংরাটিলা গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে বিপুল পরিমাণ গ্যাস নষ্ট হচ্ছে।
২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩ টায় সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা এলাকায় প্রথম গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। এরপর একই বছরে ২৪ জুন রাত ২ টায় আবারও গ্যাস ফিল্ডের বিস্ফোরণ হয়। এর পর থেকে বুদবুদ করে বের হওয়া গ্যাস থেকে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, নদীনালা, রাস্তাঘাট, টিউবওয়েলের পাইপ, পুকুর, ক্ষেতের জমিসহ আরো অনেক কিছু। এখনও বাতাসে গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে চর্মরোগসহ আরও অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে সুনামগঞ্জের সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. রফিক আহম্মেদ বলেন, এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ এভাবে চলতে থাকলে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবারই শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়া যদি গ্যাসের পরিমাণ বেশি হলে অক্সিজেন কমে যেতে পারে। এতে মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, বিশেষজ্ঞরা পরিদর্শন করে গেছেন। তারা বলেছেন, এসব গ্যাস ক্ষতিকর নয় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনেক আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। অনিচ্ছয়তার মধ্যে ভুগছেন। রাতে ঘুমাতে পারছেন না কখন আগুন লেগে যায় এই ভয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে জড়িয়ে পড়ছেন তারা। তাদের দাবি, এই অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি চান তারা।
গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব ছিল কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকোর। এতে উৎপাদন বন্ধ হলেও উদগিরণ বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে নাইকোর সাথে মামলা চলছে। সম্পাদনা : হাসান আরিফ