শিশুদের কাধে বাড়তি বই আইন মানছে না কিন্ডারগাটেন
শারমিন নিশু: প্রাক-প্রাথমিক এ মাত্র একটি বই পড়ানোর কথা থাকলেও মা-বাবার আদরের সন্তান অভি প্রথম শ্রেণিতে পড়তে সবে শুরু করেছে স্কুল যাত্রা। বই এর নাম গুলো ঠিক ঠাক বলতে না পারলেও বই এর সংখ্যা দশ। বাংলা, অংক, ইংরেজি, ওয়ার্ড বুক, ধর্ম, ভাষা শিক্ষা, গ্রামার, জ্যামিতি, বিশ্ব পরিচয় বলতে গিয়ে আটকে পড়ে অভি।
জাতীয় পাঠ্যক্রমের নীতি অনুযায়ি প্রাক-প্রাথমিক এ মাত্র একটি বই পড়ানোর কথা থাকলেও প্লে এবং নার্সারীর বই চার থেকে আটটি। সরকারের দেওয়া তিনটি বইসহ প্রথম ও দি¦তীয় শ্রেণির বই এর সংখ্যা সাত থেকে পনেরো টি। বাড়তি বইয়ের চাপের সঙ্গে রয়েছে বাড়তি পড়ার চাপ। শিশুদের বর্ণ মালার আগেই শেখানো হচ্ছে পদ বচন, অ্যাপ্লিকেশন। ধারাপাত শেখানোর আগেই দেওয়া হচ্ছে জ্যামিতি।
এমন অবস্থা দেশের হাজারো কিন্টার গার্ডেনে। শিশুর উপর চাপ সৃষ্টি করাকে আদালত অবমাননা বলছেন শিক্ষাবিধরা। আর অধিদপ্তর বলছে, বাড়তি বই পড়ানোর তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যৎ সুনামণিদের মননশীল বিকাশে কিন্টারগার্ডের জন্য পাঠ্যবই এর সুর্নিদিষ্ট তালিকা তৈরির পরামর্শ দেন শিক্ষবিধরা। হাইকোর্টের নির্দেশনামতে, শিশু তার শরিলের ১০ শতাংশ এর বেশি উজন বহন করতে পারবে না । দ্বিতীয় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী জানায়, সারা দিন পড়াশুনা করে ক্লান্ত লাগে। পড়াশুনার চাপ কম থাকলে ভালো হতো। আমাদের স্কুলে পড়তে হয়, বাড়িতে পড়তে হয়, প্রাইভেটও পড়তে হয়।
শুধু বাড়তি বই নয় বাড়তি পড়ার পাশাপাশি বহন করতে হচ্ছে স্কুলের বাড়তি উপকরণ। যেমন ছিয়াম তাকে স্কুলের উপকরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে তেরটির বেশি শিক্ষা উপকরণ। গণসাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরি বলেন, আদালতের নির্দেশনার পরেও এই সব মানা হচ্ছে কি হচ্ছে না তা আমাদের তদারকির অনেক দূর্বলতা রয়েছে। আর অনুমতি না নিয়ে বাড়তি বই পড়ানোর তথ্য পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক ডা. আবুহেনা মুস্তফা কামাল বলেন, বেআইনি ভাবে কেউ বাড়তি বই ব্যবহার করে থাকলে তার ব্যপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা : হাসান আরিফ