নাটোরে হঠাৎ বৃষ্টিতে স্বস্তি অস্বস্তিতে কৃষক
তাপস কুমার, নাটোর: নাটোরে ভোর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে মাঘের শীত যেন ফাল্গুনে জেঁকে বসেছে। ফসলের মাঠে স্বস্তি-অস্বস্তিতে আছেন কৃষকরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা ছিল, কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বৃষ্টিপাতের কারণে উঠতি গম, সরিষা ও মশুরের জন্য কিছুটা বিপত্তি ঘটলেও এ বৃষ্টি কৃষি ও কৃষকের জন্য আশির্বাদ। বিশেষ করে আম, লিচু, ভুট্টা, রসুন, পেঁয়াজ এবং বোরো ধানের জন্য এ বৃষ্টি খুবই উপকারী। নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, যে সব কৃষক দেরিতে গম, সরিষা ও মশুর চাষ করেছেন, তাদের জন্য এ বৃষ্টিপাত সামান্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে অন্য ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। অধিকাংশ কৃষক তাদের চাষকরা গম, সরিষা ও মশুর ঘরে তুলেছেন। এসব ফসলের অবস্থা ক্ষতির পর্যায়ে নেই। তিনি বলেন, পুকুর বা ভূগর্ভস্থ পানির চেয়ে বৃষ্টির পানি ফসলের জন্য ভালো। কারণ এ পানিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি থাকে। বৃষ্টির পানিতে রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকে ফসল। বৃষ্টিপাতের পরপরই আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ হলে ফসলের জন্য অনেক ভালো। কিন্তু আকাশে ২/৩দিন যদি মেঘলা অবস্থা বিরাজ করে, তাহলে ফসলের জন্য ক্ষতিকর। তবে আপাতত এ বৃষ্টিপাত ফসলের জন্য আশির্বাদ বলে জানান তিনি।
এদিকে, হালতি বিলের কৃষক কাউছার আলী জানান, এ সময়ে বৃষ্টি হলে ভুগর্ভস্থ পানির স্তর ভালো থাকবে, ফসলের রোগ-বালাই কম হবে এবং বোরো জমিতে সারের পরিমাণ কম লাগবে। একই এলাকার ভুট্টা চাষি আব্দুল গফুর জানান, ভুট্টায় সাধারণত রোপণ থেকে ওঠা পর্যন্ত দুই/তিনটি সেচ দিতে হয়। সম্পাদনা: শাহীন আলম