নবাবগঞ্জে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা কেটে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন
এম রুহুল আমিন প্রধান: নবাবগঞ্জ: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বালু মহাল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কৃষি তিন ফসলী ভিটা জমি থেকে বালু উত্তোলন করে জমজমাট ভাবে বালু ব্যবসা করায় একদিকে নস্ট হচ্ছে ভিটা জমি অপরদিকে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা কেটে ট্রাকে করে মাটি ও বালি নিয়ে যাওয়ার ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এদিকে করতোয়া নদীতে ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতুর পাশ থেকে একই কায়দায় বালু বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, উপজেলার ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের পূর্ব পার্শে ভিটা জমি থেকে পার্শ্ববর্তী ২নং বিনোদনগর ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের মজিবর রহমান তার জমি থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে। এর কারণে ভিটা মাটি বড় আকারে গর্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী কৃষকের ৫০ বিঘা কৃষি ফসলী জমি হুমকির সম্মুখীন। এছাড়াও রঘুনাথপুর থেকে নন্দনপুর পর্যন্ত গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা প্রায় এক হাজার ফিট কর্তন করে বালু ব্যবসায়ীরা জন সাধারণের যাতায়াতে রাস্তা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কবির রাজু জানান, বালু ব্যবসা করার কারণে কৃষকের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি কাঁচা রাস্তার অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.বজলুর রশীদ যোগাযোগ করা হলে তিনি বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার তিনি জানান, তার নির্দেশে পুলিশ প্রেরণ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় যোগাযোগ করা হলে উপ-পরিদর্শক মো. আতিক জানান, বালু উত্তোলনের ঘটনাস্থল থেকে বালু পরিবহনে একটি বড় ট্রাক্টর, কোদাল, বেলচা জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে । সম্পাদনা: শাহীন আলম