নীতি ভেঙে সরকারি চাকরি গিলানির নাতিকে
ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১৬ এর শেষভাগে তার ‘আজাদি’র ডাকে কাশ্মীরে বলি হচ্ছেন একের পর এক যুবক। সেনার ওপর হামলা চালাতে গিয়ে ছররা গুলিতে অন্ধ হচ্ছে হাজার। তখনই নিয়ম ভেঙে সরকারি চাকরি বাগিয়েছেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নাতি। বছরে ১২ লাখ টাকা মাইনের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই আঙুল উঠছে এই প্রবীণ বিচ্ছিন্নতাবাদীর দিকে। অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করে সুবিধা নিচ্ছেন গিলানি। বিপাকে মেহবুবা মুফতি সরকারও। আজকাল
গত জুনে জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে উত্তপ্ত কাশ্মীর। তাতে ঘি ঢালেন গিলানির মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। তাদের ডাকা বনধে অচল হয়ে যায় কাশ্মীর। এসবের মধ্যেই শের-এ-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনভেকশন কমপ্লেক্স-এ রিসার্চ অফিসার নিযুক্ত হন আনিস-উল-ইসলাম। সমস্ত নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটন দপ্তরের ভর্তুকি শাখা হল শের-এ-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনভেকশন কমপ্লেক্স। এই দপ্তর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির হাতে রয়েছে। দপ্তরে নিয়োগের দায়িত্ব রয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট সাবর্ডিনেট রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। কিন্তু আনিসের নিয়োগ হয়েছে সরাসরি। যদিও অনিয়মের বিষয়টি মানতে চাননি পর্যটন সচিব ফারুক শাহ। তিনি জানিয়েছেন, রিসার্চ অফিসারের পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। তা দেখে অনেকে আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে থেকেই আনিসকে বেছে নেওয়া হয়। তবে শের-এ-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনভেকশন কমপ্লেক্স-এর এক কর্মী জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপন দেওয়ার অনেক আগেই আনিসের নিয়োগ হয়েছে। তখন কাশ্মীরে বনধ ডেকেছিলেন গিলানি। নিয়ম অনুযায়ী, রিসার্চ অফিসার পদে নিযুক্তদের সম্পর্কে ছানবিন করে সিআইডি। আনিসের ক্ষেত্রে সেটি এখনও হয়নি। তাই এখনও কোনও বেতন পাননি গিলানির নাতি। এই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন উপত্যকার এক এমবিএ পড়ুয়া। জানালেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরে তার আবেদন গ্রহণ করে শের-এ-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনভেকশন কমপ্লেক্স। কিন্তু এখনও ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি। আনিস পাঞ্জাবের জলন্ধরের একটি কলেজ থেকে এমবিএ করেন। সিআইডি-র রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের পাসপোর্ট দপ্তর তাকে পাসপোর্ট দিতে অস্বীকার করে। পরে অবশ্য পাসপোর্ট পেয়ে ইউকে-তে এমবিএ পড়তে যান। কীভাবে পাসপোর্ট পেলেন, প্রশ্ন রয়েছে। গিলানির ছেলে নইম চিকিৎসক। তিনি সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি করতেন। নইমের বড় মেয়ে স্কুলে পড়ে। গিলানিক স্কুল বাতিলের ডাক সত্ত্বেও গত অক্টোবরে পরীক্ষায় বসেছিল সে।সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ