বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হলে কারও নিবন্ধন থাকবে না : ড. মোশাররফ
শাহানুজ্জামান টিটু: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না এলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হবে সরকার দলীয় নেতাদের এমন মন্তব্যে কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হলে সেদিন কোনো দলেরই নিবন্ধন থাকবে না। নিবন্ধন নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয়। এদেশের মালিক মোকতার হলেন দেশের জনগণ। সুতরাং যারা বলছেন বিএনপি নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন বাতিল হবে এটা অবাস্তব।
গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে কোথায়ও আইনের শাসন নেই। কোনো খাতেই সরকার আইনের শাসনকে তোয়াক্কা করছে না। নিজের দলের লোকদের দিয়ে সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে সরকার। ফলে কোনো জবাবদিহিতা নেই।
সরকারকে প্রতারক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিদেশিদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে। সে সময় নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের কথা বলে আরেকটি দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচন দেয়নি সরকার। তারা আগামীতে ফের সে রকম করার চিন্তা করলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি একটি উদারপন্থি ও গণতান্ত্রিক দল। পরিবেশ পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে বিএনপি সবসময় প্রস্তুত।
নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে এবং সে নির্বাচনে খালেদা জিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সরকার গঠন করবেন।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে কোনো নির্বাচন হবে না। সে চিন্তা করলে জনরোষ ঘরের বাইরে জনপ্রতিরোধ তৈরি হবে। গণবিস্ফোরণ ঘটবে। বোধোদয় হলে সহজ ও গণতন্ত্রের পথে আসুন। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিলে সরকার ও শেখ হাসিনা দায়ী থাকবে।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, খালেদা ইয়াসমিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টির সাহিদুর রহমান তামান্না, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সাবেক ছাত্রনেতা সর্দার মো: নূরুজ্জামান প্রমুখ। সম্পাদনা: এনামুল হক