সন্তানদের সঙ্গে মায়েদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ডেস্ক রিপোর্ট: সন্তানদের সঙ্গে মায়েদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, সন্তানের সঙ্গে মায়েদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে আর কেউ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির পথে না যায়। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্তানের জন্য সব থেকে বড় বন্ধু হবেন ‘মা’। মায়ের কাছে সন্তান যেন নির্দ্বিধায় তার যেকোনো সমস্যার কথা বলতে পারে সেই ধরনের একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যেটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা মা-বোনদের বলে রাখি, বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। মাদকাসক্তি থেকে সন্তানদের রক্ষা করতে হবে। এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং যথাযধথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ছেলে-মেয়েরা যেন লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে বলেন প্রধানমন্ত্রী। নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেদেরকে কখনো অপাংতেয় ভাবা যাবে না। প্রত্যেকটি মানুষেরই কর্মদক্ষতা আছে, কর্মক্ষমতা আছে। যার যেটুকু আছে সেটা দেশের কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক কর্মী তাদের একটাই লক্ষ্য থাকতে হবেÑ রাজনীতির মধ্যদিয়ে আমরা জনগণকে কি দিতে পারলাম। মানুষকে কি দিতে পারলাম এবং আমাদের মা-বোনেরা, তাদের কাছে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে শুধু বাংলাদেশ না সমগ্র বিশ্বে একটা নতুন উপসর্গ হচ্ছে জঙ্গিবাদের আবির্ভাব। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে নারীরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা মায়ের জাত আর ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ হত্যা করে কিভাবে তারা ইসলাম ধর্ম পালন করছে আমি জানি না। যারা এ রকম নিরীহ মানুষ হত্যা করবে তাদের স্থান কখনো বেহেশতে হতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ হত্যা মহাপাপ, মানুষ হত্যাকারীর স্থান হবে দোজখে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী, ভাই-বোনদের আমি বলব, আপনারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যারা এসেছেন তারা নিজ নিজ পরিবারে লক্ষ্য রাখবেন ছেলে-মেয়রা কোথায় যায় এবং কার সঙ্গে মেশে, কি করে, পড়াশোনা ঠিকমতো করছে কি না, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত যাচ্ছে কি না, নিশ্চয়ই সেটার খবর রাখতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আশরাফুননেছা মোশাররফ। সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সম্পাদনা: এনামুল হক