হোয়াইট হাউসে কুশনারের সঙ্গে টনি ব্লেয়ারের গোপন বৈঠক
লিহান লিমা: হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা, জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। দ্য মেইলের খবরে বলা হয়, বুধবার ওয়েস্ট উইংয়ে অনুষ্ঠিত ৩ ঘণ্টার ওই বৈঠকসহ মোট তিনবার ব্লেয়ার-কুশনার গোপন বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মপদ্ধতি এবং এতে ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী কি ভূমিকা রাখতে পারেন সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্লেয়ার ইইউ, ইউএস, রাশিয়া এবং জাতিসংঘের হয়ে গত ১০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূতের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্লেয়ারের এই অভিজ্ঞতা ট্রাম্প প্রশাসন কাজে লাগাতে পারে।
ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে ব্লেয়ার মার্কিন প্রশাসনে কোনো আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট তার পরামর্শ নিতে পারেন। বাস্তবতা যাই হোক, ইসরায়েলমুখী ব্লেয়ার-কুশনার যে ফিলিস্তিনের নাগরিকদের স্বার্থে সংকীর্ণতা বজায় রাখবেন সেটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
যদি ট্রাম্প ব্লেয়ারকে কোনো নতুন ভূমিকা দেন তাহলে এটি বিশ্বকে পুরো পাল্টে দিতে পারে। কারণ ইরাক যুদ্ধের জন্য ব্লেয়ারকে দায়ী করা হয়ে থাকে। ২০০১ সালে মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইরাকে ধ্বংস ডেকে আনেন দুই নেতা। তাদের এই ভুলের কারণেই আইএসের উত্থান বলে মনে করছেন অনেকে।
সেপ্টেম্বরে কলরাডোতে প্রথম দেখা করেছিলেন ব্লেয়ার-কুশনার। নির্বাচনে জয় লাভের পর নভেম্বরে নিউ ইয়র্কের একটি রেস্তোরাঁতে আবার দেখা করেন তারা। ট্রাম্পের জয়কে ‘নতুন সত্য’ এবং ‘ডানপন্থিদের বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন ব্লেয়ার।
অন্যদিকে টনি ব্লেয়ারের অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ খবর ‘আবিষ্কার’ করা হয়েছে। টনি ব্লেয়ারের মুখপাত্র বলেছেন, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূতের ভূমিকা নেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই ব্লেয়ারের। ডেইলি মেইল, সম্পাদনা: রবিউল্লাহ