স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তিকে অতিথি করা যাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আনিসুর রহমান তপন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে স্বাধীনতাবিরোধী বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে অতিথি করা যাবে না। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদেরকে এই কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনো অবস্থাতেই বিতর্কিত ও স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তিকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি করা যাবে না।
বিতর্কিত ও স্বাধীনতাবিরোধী এসব ব্যক্তিদের কোনো তালিকা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কোনো তালিকা আমাদের কাছে নেই। তবে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতারা অবশ্যই জানেন সেসব এলাকার কোন কোন ব্যক্তি বিতর্কিত ও স্বাধীনতাবিরোধী। কাজেই সেভাবেই জিনিসটি মেইনটেন করা হবে।
জাতীয় পতাকার যত্রতত্র ব্যবহার সম্পর্কে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের জাতীয় পতাকা যত্রতত্র ব্যবহার করা হয়। এতে অনেক সময় পতাকার মর্যাদা ক্ষুণœ হয়। সেজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিবে। পতাকার মাপ কি হবে, কোন সময় থেকে কোন সময় পর্যন্ত পতাকা ওড়ানো হবে, কিভাবে পতাকা উড়বে, এসব বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে প্রচার করা হবে। এর যারা এ নির্দেশনা মানবে না সেই বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনী তত্ত্বাবধান করবে বলেন মন্ত্রী।
নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মাধ্যমে জাতীয় দিবসটি উৎসব মুখর পরিবেশে পালনের আশাবাদ ব্যক্ত করে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, তিনদিন টানা ছুটি থাকায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যথেষ্ট ভিড় হবে বলে মনে করছি। সেখানেও আমাদের পুলিশবাহিনী, টুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ সজাগ থাকবে।
তিনদিন ছুটি নিয়ে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, না এখন পর্যন্ত কোন থ্রেট নেই। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ সুন্দরভাবে দিনটি উদযাপন করতে পারবেন বলে আশা করছি যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাভার স্মৃতিসৌধ ও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিবসের প্রধান অনুষ্ঠান হবে বিধায় এ স্থান দুটিতে বিশেষ নজর রাখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় কোনো তোরণ তৈরি করা যাবে না। এর আগেও আমরা তোরণ নির্মাণ করতে দিইনি এবারও সেটা বিধি-নিষেধের মধ্যে রয়ে গেছে।
সিটিটিভি, আর্চওয়ে, কন্ট্রোলরুম গতবারের মতো এবারও স্থাপন করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নৌপথে নৌপুলিশ টহলে থাকবে। এদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদানে একটা স্টাবলিস্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা দাঁড় করিয়েছি। কূটনীতিকদের তাদের এলাকা থেকে মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ স্কটের মাধ্যমে নিয়ে আসা হবে এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তাদেরকে একইভাবে স্ব স্ব ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ স্থলেও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সব ধরনের নাশকতা এড়াতে জাতীয় দিবস পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবেন বলেও জানান মন্ত্রী। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী