জাতীয় পাট দিবস পালিত ‘পাটের চাহিদা বেড়েছে, নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে’
ফারুক আলম: ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’ এই সেøাগানে নিয়ে সারাদেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৭’। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেছেন, বিশ্বখ্যাত সোনালী আঁশ পাট ও পাটজাত দ্রব্যই ছিল এদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু জনস্বার্থে পাট ও বস্ত্রকলসমূহ জাতীয়করণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। কালের পরিক্রমায় তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মৃতপ্রায় পাটকে আবার সোনালী আঁশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছেন। এতে পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে, পাট চাষীরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। পাট এখন পরিবেশবান্ধব ও বহুমুখি পণ্যের উপাদান। বাংলার অন্যরকম গৌরব। বাংলার পাট বিশ্বমাতÑ এটাই এখন বাস্তব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পাটকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এ ১৩৫ প্রকার বহুমুখী পাটপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে। পাট থেকে ভিসকস ফাইবার, চারকোল, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, পাট পাতার কোমল পানীয়, নদীর ভাঙনরোধে পরিবেশবান্ধব জুট জিও-টেক্সটাইল, পলিথিনের বিকল্প পাটের শপিং ব্যাগ উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে । ফলশ্রুতিতে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের কৃষক তাদের উৎপাদিত সোনালী আঁশ বিক্রি করে কাক্সিক্ষত মূল্য পাচ্ছেন।
এ র্যালিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত পাটচাষী, পাট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ ও ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা-২০১৩’ অনুযায়ী সতেরটি পণ্য পরিমাণ সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
জাতীয় পাট দিবস ঢাকাসহ সারাদেশে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাট ও পাটজাত পণ্য সহযোগে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে পাটচাষীসহ পাটের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এর সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। র্যালিতে ব্যানার, পোস্টার ও বিভিন্ন সেøাগানে মুখরিত ছিল। উল্লেখ্য আগামী ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও ৯-১১ মার্চ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে তিনদিনব্যাপী পাটপণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সম্পাদনা: রাশিদ