মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল ও বাণিজ্য নীতির সমালোচনা রাউল কাস্ত্রোর
এম রবিউল্লাহ: মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল ও বাণিজ্য নীতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পরে এটি কিউবার প্রেসিডেন্টের প্রথম প্রতিক্রিয়া। প্রায় অর্ধ শতাব্দী কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ থাকার পর ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামা কিউবার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। জিও নিউজ
মেক্সিকো সঙ্গে দেওয়াল ও ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে এর বিপক্ষে অবস্থান নেন রাউল কাস্ত্রো। ভেনিজুয়েলায় বামপন্থিদের একটি সম্মেলনে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন কিউবান প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো। কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এটি সম্প্রচার করা হয়। গত মাসে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয় কিউবার বিষয়ে এখনো কোনো বাণিজ্যের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রাম্পের বাণিজ্য ও অভিবাসী নতুন নীতির সমালোচনা করে রাউল কাস্ত্রো বলেন, এই নীতির কারণে কিউবাকে বৈদেশিক বাণিজ্যে সংকটে পড়তে হবে। লঙ্ঘিত হবে পরিবেশ আইন। বিপাকে পড়বে অভিবাসীরা।
মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্প যে দেওয়াল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন তাতে শুধু মেক্সিকানরাই সমস্যায় পড়বে না। এতে সংকটে পড়বে পুরো ল্যাতিন আমেরিকার নাগরিকরা। এই দেওয়াল নির্মাণ করে দারিদ্র্যতা ও অভিবাসন সংকট দূর করা যাবে না। তবে সহায়তা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই শান্তি আনবে বলে মনে করেন রাউল।
প্রায় অর্ধ শতাব্দি বন্ধ থাকার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারই অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ওবামা-কাস্ত্রো সম্মত হয়ে দুই দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। এরপর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হয়। স্বাক্ষরিত হয় পারস্পরিক সহায়তার চুক্তিও।
গত মাসে ট্রাম্প ফ্লোরিডায় সিনেটর মার্কো রুবিওর সঙ্গে ডিনার করেন। ওই ডিনারে তিনি বলেন, ওবামা ডেমোক্রেট নেতা ছিলেন। তিনি নির্বাহী আদেশে কিউবার নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন তবে কোনো বাণিজ্য চুক্তি তো করেনি। বাণিজ্য চুক্তির জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে যা এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে সহায়তার চুক্তি সই হওয়ার পর থেকে ভ্রমণ চলাচল বেড়ে যায়। তবে এখনো বাণিজ্যিক কোনো চুক্তি হয়নি। সম্পাদনা: রাশিদ