নারীরা অনেক এগিয়েছে
খুশী কবির
নারীরা আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। অনেক জায়গাতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। অর্থাৎ প্রায় সব জায়গায়ই এখন নারীর অবস্থান রয়েছে। কাজ করছে। তার মানে এই নয় যে, সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে। দেশে নারীদের আজকে যে অবস্থান তা এমনিতেই অর্জন হয়নি। নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। অবহেলা, বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছিল। এখনো নারীরা তার যোগ্যতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই তাদের এই লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারেরও একটা দৃষ্টিভঙ্গি বা নীতি রয়েছে। তারা চাচ্ছে নারীরা এগিয়ে যাক, পাক তার যোগ্যতার পুরস্কার। নিশ্চিত হোক প্রাপ্য মর্যাদা। তবে নারী অগ্রগতির পথে অনেক বাধা এখনো মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাদের এগোনোর পথে সবচেয়ে বড় বাধা বা সমস্যা হলোÑ নারীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। এটা এখনো মধ্যযুগীয় দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যায়। পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজে নারীকে এখনো মানুষ হিসেবে, দেশের নাগরিক হিসেবে যে পুরুষের সমান অধিকার তারও রয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। রাস্তা-ঘাট, চলা-ফেরা, কাজ-কর্ম সবখানে নারীর অবাধ সুযোগ আছে। কিন্তু সুযোগ থাকলেও নিরাপত্তাহীনতার শংকা অনেকসময় তাদের স্বাভাবিক কর্মকা- ব্যাহত করে।
নারীর অগ্রগতি প্রত্যাশামতো না হলেও উন্নতির জায়গাটিও কম নয়। অগ্রগতি হচ্ছে, তবে আরও দ্রুত ও উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি নারীদের প্রাপ্য। তাদের সেই সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গড় আয়ু, গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। কাজের ক্ষেত্রটিও এখন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তবে নারীর অগ্রগতির পথে অনেক বাধাও আছে। সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছেÑ নারীর নিরাপত্তা, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে আমাদের। চিন্তার ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
পরিচিতি: মানবাধিকার কর্মী/মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান