লক্ষ্মীপুরে পানির অভাবে বোরো আবাদ ব্যাহত
জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীরহাট রহমতখালী খালের ওপর নির্মিত দুইটি রেগুলেটর ( সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা) এর ২৮টি গেটের মধ্যে ২৩টি বন্ধ। গেট বন্ধ থাকায় জোয়ারের পানি আশপাশের খালে পৌঁছে না। পানি না থাকায় কৃষকরা ক্ষেতে সেচ দিতে পারছে না। রোপন করা যাচ্ছে না ধানের চারা। যে কারণে চলতি মৌসুমে বোরো ক্ষতির মুখে হাজারো কৃষক। তাছাড়া, বিকল্প বৈদ্যুতিক জেনারেটর না থাকায় জোয়ারভাটার সময় রেগুলেটরের সচল থাকা ৫টি গেট ও যথাসময়ে খোলা ও বন্ধ করা যায় না।
জেলায় চলতি মৌসুমে ২৭ হাজার ৬৬৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পানির অভাবে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে কি না তা নিয়ে কৃষদের মাজে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। লক্ষ্মীপুরে বোরো ধান চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি মেলে জোয়ারের পানি থেকে। এখন নদীতে জোয়ার থাকলেও রেগুলেটরের বেশিরভাগ গেট বন্ধ থাকায় পানি পাচ্ছে না কৃষক। পর্যাপ্ত পানির অভাবে রোপণ করা যাচ্ছে না ধানের চারা। এতে লক্ষ্মীপুরের হাজার-হাজার কৃষক পড়েছেন বিপাকে। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা তাদের।
সরেজমিন দেখা যায়, লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটের মেঘনা নদী সংলগ্ন রহমতখালী খালের ওপর নেভিগেশন লকসহ ১৪ ভেন্টের দুইটি রেগুলেটর রয়েছে। এতে মোট ২৮টি গেট আছে। মূল রেগুলেটরের ১৪ গেটের মধ্যে পাঁচটি জোয়ারের সময় খুলে দেয়া হয়। বাকি নয়টি গেটের মধ্যে একটির চেইন বিকল; বাকি আটটি বৈদ্যুতিক লাইন ও মোটরের ত্রুটির কারণে বন্ধ। পুরনো রেগুলেটরের ১৪টি গেটই বন্ধ। এর মধ্যে তিনটি ভেঙে গেছে। যে কারণে ভাটার সময় মূল রেগুলেটরের সচল গেটগুলো বন্ধ করলেও পানি ফের নদীতে ঢুকে পড়ে। এতে নদীর জোয়ারের পানি আশেপাশের খালে পৌঁছুতে পারছে না। ফলে পানির অভাবে জমিতে লাঙল দিতে পারছেন না কৃষকেরা।