বাংলাদেশের নিরাপত্তা অন্য দেশের হাতে দেয়া হচ্ছে, অভিযোগ রিজভীর
কিরণ সেখ: বাংলাদেশের নিরাপত্তা অন্য দেশের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম
কারাবন্দী দিবস’ উপলক্ষে এ সভায় তিনি বলেন, আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন। ওই সফরে তিনি বেশ কয়েকটি চুক্তি করবেন। কিন্তু চুক্তিগুলোর ভিতরের খবর জানানো হচ্ছে না। তবে ভারতের একটি পত্রিকায় এসেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ে চুক্তি হবে। এ চুক্তির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা অন্য দেশের হাতে তুলে দেয়া হবে- অভিযোগ রিজভীর। বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে তাদের কথা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। এর ফল আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, চুক্তি করে আমাদের চিরস্থায়ীভাবে গোলাম বানাতে চায়। সুতরাং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আর প্রয়োজনে প্রতিরোধ ও সংগ্রাম করে এগুলো রুখে দিতে হবে।
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ভারত বলছে, চুক্তি হবে। কিন্তু চুক্তি শব্দটাই বিপদজনক। এসমস্ত চুক্তির মধ্যদিয়ে আমাদের প্রতিরক্ষা স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠিত হবে। তাহলে আমাদের স্বাধীনতা কোথায়- প্রশ্ন রাখেন তিনি। আমাদের নিরাপত্তা কেনো ভারতের উপর নির্ভরশীল হবে-বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছেন। কত হইচই করে পাড়া ও মহল্লায় সেটা বাজানো হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে তারেক রহমানের পোস্টারও টানাতে দেওয়া হয় না। জবরদস্তি করে, আইন করে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বানানো হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সুস্পষ্টভাবে ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা নেই। এমনকি বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা বলেছেন আবার জয় পাকিস্তানও বলেছেন তিনি। তবে বক্তব্যে উদ্দীপনা রয়েছে। গায়ের জোরে এবং বিচারবিভাগের কাঁধে বন্দুক রেখে ইতিহাস কাটিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তার। সম্পাদনা: এনামুল হক