৬২৩টি খাদ্য গোডাউন পর্যায়ক্রমে পুনঃস্থাপন
ফারুক আলম : দেশে খাদ্য শস্য সংরক্ষণের পরিমাণ বাড়লেও ফ্ল্যাট গোডাউনের কারণে মানসম্মত খাদ্য শস্য দীর্ঘদিন মজুদ করে রাখা যাচ্ছে না। ফলে সময়ের আগেই গোডাউন থেকে শস্য বের করে কম দামে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে প্রত্যেক বছর সরকারকে বিপুল অর্থ ভুর্তিকী গুনতে হয়। মানসম্মত খাদ্য ও ভুর্তিকী কমিয়ে আনতে সারা দেশে এলএসডি ও সিএসডি ৬২৩টি গোডাউন পর্যাক্রমে আধুনিক সাইলোতে পুনঃস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে এলএসডি, সিএসডি ৬২৩টি খাদ্য গোডাউন আছে সেগুলো ফ্ল্যাট গোডাউন। এতে বস্তাবন্দী করে শস্য রাখা হয়। কখনও নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব গোডাউনের খাদ্য ড্যামেজ হয়। কিন্তু ৮টি আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগারে মানসম্পন্নভাবে দীর্ঘদিন খাদ্য সংরক্ষণ করা যাবে। দেশ এখন ডিজিটাল পথে চলছে। তাই খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ফ্ল্যাট গোডাউনে দীর্ঘদিন শস্য রাখার ব্যবস্থা না থাকায় সরকার ৩২ টাকা দরে চাল কিনে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। কারণ চালের মান আশানুরূপ থাকে না। বর্তমানে দেশের উন্নতির ফলে মানুষের চাহিদা বাড়ায় এখন আগের মত সরকারি চাল কিনতে চায় না। বর্তমানে তা সরকারের বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই সরকার আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। নতুনভাবে গড়ে তোলা ৮টি স্টিল সাইলোর মধ্যে ২টিতে গম আর বাকি ৬টিতে চাল রাখা হবে।
ফ্ল্যাট গোডাউনের বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব কায়কোবাদ হোসেন বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন ধরণের ৬২৩টি খাদ্য গোডাউন রয়েছে, এগুলো কোনো সিস্টামের মধ্যে নেই। কোন গোডাউনে কী পরিমাণ শস্য সংরক্ষিত রয়েছে তা জানার ব্যবস্থা নেই। এসব গোডাউনে ৬ থেকে ৯ মাসের ওপরে খাদ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। এ জন্য ফ্ল্যাট গোডাউন বেশিদিন রাখা যাবে না। আর এখন যেসব আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার তৈরি হচ্ছে সেখানে ২ বছর পর্যন্ত খাদ্য সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। প্রয়োজনে ৩ বছর পর্যন্ত খাদ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবো। দীর্ঘ মেয়ার্দী খাদ্য সংরক্ষণ করতে আধুনিক সাইলো নির্মাণে যাইতেই হবে। কাজেই ৬২৩টি খাদ্য গোডাউন পর্যাক্রমে রিপ্লেসম্যান্ট করা হবে।
এদিকে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগারের প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব গাজী-উর রহমান আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যে ছোঁয়া লেগেছে সব কিছু এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে খাদ্য সংরক্ষণে আর পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে। এই মিশন সামনে সাইলোগুলোতে আইসিটি খাত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পাদনা: এনামুল হক