বিনা অপরাধে আটক ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বিনা অপরাধে কারাগারে আটক রয়েছেন তারা সংশ্লিষ্ট আটককারী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন। তাছাড়া যদি কেউ রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন তবে আইনে সে বিধানও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আটক অপরাধীদের পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।
গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা এসব কথা জানান। প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপন করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৩টা ২২ মিনিটে সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়।
এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যারা কারাগারে আটক রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে। এসব মামলা তদন্তাধীন পর্যায়ে থাকতে পারে বা বিচারিক পর্যায়েও থাকতে পারে। বিচারিক পর্যায়ে দীর্ঘসূত্রতা থাকলে এসব মামলায় কারাগারে আটক ব্যক্তিদের জামিনে মুক্তি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা সংশ্লিষ্ট বিচারকের এখতিয়ারাধীন। সরকার এসব মামলা দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে দ্রুত বিচার আদালত ও ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ মামলার বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত এবং সংস্কারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। এ ছাড়া অপরাধীরা যাতে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন আটক না থাকেন সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার তাদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ধরে আটক অপরাধীদের সংখ্যা জানার জন্য পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এসময় বিভিন্ন সময়ে নিজের জেলের থাকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমি জেলে থাকার সময় জানতে পারি যে, অনেক মানুষ বিনা অপরাধে জেলে আটক অবস্থায় আছে। এ সকল ব্যক্তিদের অবিলম্বে জেল থেকে মুক্ত করা প্রয়োজন। কিছু এনজিও এবং সরকারি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে আটক ব্যক্তিদের কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান আছে। সম্পাদনা: এনামুল হক