রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদন প্রকাশ তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্য অর্জিত হয়নি
জাফর আহমদ: দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক অষ্টম মাসেও লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। ১৯,৭৫৩ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে অর্জিত হয়েছে ১৮,৬৩৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি রফতানি হয়েছে। রফতানি উন্নয়ন বু্যুরোর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট ৩০,৩৭৯ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রফতানি হয়েছিল ২৮,০৯৪ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। ওই বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে রফতানি হয়েছিল ১৮,১২৭ দশমিক ৬৩ মার্কিন ডলারের। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে গত বছরের চেয়ে কিছুটা রফতানি বাড়লেও যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তা অর্জিত হয়নি। ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম রফতানি হয়েছে। তবে আশঙ্খার কথা যে তৈরি পোশাকের মধ্যে যে পণ্যটি বেশি রফতানি হয় তা হলো ওভেন পোশাক। এই ওভেন পোশাকই লক্ষ্যমাত্রার ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ কম রফতানি হয়েছে।
আলোচ্য সময়ে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি বেড়েছে ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। জাহাজ রফতানি বেড়েছে ১০.২৩ শতাংশ। কেমিকেল প্রডাক্ট রফতানি বেড়েছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
জুলাই-ফ্রেবুয়ারি আট মাসে সব চেয়ে বেশি কমেছে হিমায়িত মৎস রফতানি। এপিবি‘র তথ্য অনুযায়ী আরোচ্য সময়ে মাছ রফতানি কমেছে ৪৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আট মাসে হিমায়িত মৎস্য রফতানি হয়েছে ৩.২১ মিলিনয়ন ডলারের। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬.৫০ মিলিয়ন ডলারের। গত বছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৫.৭২ মিলিয়ন ডলারের হিমায়িত মৎস। তথ্য অনুযায়ী গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ডলারের মাছ রফতানি কমেছে। এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ দশমিক ৬২ শতাংশ কম রফতানি হয়েছে। এছাড়াও কৃষিজাত পণ্য লক্ষ্যের চেয়ে ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ কম রফতানি হয়েছে; ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে কাঁচামাল রফতানি।
সার্বিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক শুন্য ৮ শতাংশ কম রফতানি হয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি রফতানি হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানির ম্টো লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৭,০০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। আট মাসে অর্জিত হয়েছে ২২,৮২৬ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। আগের বছরে রফতানি হয়েছিল ৩৪,২৫৭ দশমিক ১৮ ডলারের পণ্য। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী