আলীগড় মুসলমি বশ্বিবদ্যিালয় : বৃটশি আন্দোলনরে কারগির
মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
গল্পটি ১৮৭৫ সালরে। ভারতীয় উপমহাদশেরে মুসলমানরা ইংরজেদরে কাছে নজিদেরে সাম্রাজ্য, সম্মান, র্শৌয-র্বীয, ভাষা, শক্ষিা, র্অথ-সম্পদ, প্রভাব-প্রতপিত্তি হারাতে বসলো। ঘৃণা, ক্ষোভ, ভয় নয়িে তাদরে থকেে দূরে সরে যতেে থাক।ে জাতরি রাহবার হয়ে তখন এগয়িে এলনে স্যার সয়ৈদ আহমদ খান। ভারতরে উত্তরপ্রদশেরে আলীগড় শহরে প্রতষ্ঠিা করলনে আলীগড় অ্যাংলো ওরয়িন্টোল কলজে। ১৯২০ সালে যা আলীগড় মুসলমি বশ্বিবদ্যিালয়ে রূপ নয়ে। ভারতীয় রাজনীততিে মুসলমানদরে অধকিার নশ্চিতি করাই এর মূল লক্ষ্য ছলিো। ইংরজেদরে রূখতে আধুনকি শক্ষিার জোর তাগদি দয়ে প্রতষ্ঠিানট।ি এটি র্অথনীত,ি সমাজ, রাজনীতসিহ সবক্ষত্রেে পছিয়িে পড়া মুসলমানদরে একটি আন্দোলন হসিবেে কাজ কর।ে যা ব্রটিশি ভারতে মুসলমানদরে রাজনীততিে ভবষ্যিতরে পাথয়ে হয়ে দাঁড়ায়। দু’হাত ভরে যে আন্দোলন ব্রটিশি ভারতকে দয়ে খ্যাতনামা রাজনীতবিদি, পণ্ডতি, সমাজ সংস্কারকসহ বহু গুণীজন। ক্যামব্রজি বশ্বিবদ্যিালয়রে আদলে গড়া প্রতষ্ঠিানটি ছলিো বৃটশিকালে ভারতরে সরো শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানগুলোর একট।ি তৎকালীন খ্যাতনামা মুসলমি চন্তিাবদি ও র্উদুভাষার বখ্যিাত কবি লখেক এখান থকেইে স্নাতক সম্পন্ন করনে।
কালরে বর্বিতনে আলীগড়রে সইে ঐতহ্যিে ধুলো জমে একসময়। পড়াশুনোর আড়ালে হানাহান,ি সংর্ঘষে পার হতে থাকে দনি। সময়রে বদলে ফরে ঘুরে দাঁড়য়িছেে আজ। গলেো বছর ইন্ডয়িা টুডে ও নলেসনরে যৌথ জরপিে দশেরে প্রথম সাররি বশ্বিবদ্যিালয়গুলোর মাঝে পঞ্চম স্থান দখল করে চমক দখেয়িছে।ে নামে মুসলমি হলওে হন্দিু, বৌদ্ধ, খ্রস্টিানসহ সব সম্প্রদায়রে ছলেমেয়েরো একসঙ্গইে পাঠ নয়ে এখান।ে ভারতরে সাম্প্রদায়কি চন্তিাধারাকে অতক্রিম করে শক্ষর্িাথীদরে মাঝে র্ধমনরিপক্ষে ও জাতীয়তাবাদী মনোভাব গড়ে তোলাই এখন এর প্রধান কাজ। র্বতমানে ২৭ হাজার শক্ষর্িাথীদরে ১ হাজার ৩০০ জন শক্ষিক রয়ছেনে। পাঁচটি অনুষদরে অধীনে এর বভিাগ রয়ছেে ৯৫ট।ি ছাত্রছাত্রীদরে থাকার জন্যও রয়ছেে প্রায় ৮০টি আবাসন। প্রতবিছর শক্ষর্িাথীদরে সংখ্যা বাড়ায় খোলা হচ্ছে নতুন নতুন শাখা। ২০১১ সালে করোলার মালাপ্পুরাম, বহিাররে কষিানগড়, পশ্চমিবঙ্গরে র্মুশদিাবাদে এক একটি করে ও মহারাষ্ট্ররে আওরঙ্গাবাদে দুটি শাখা ক্যাম্পাস করা হয়ছে।ে এছাড়াও ইউনানি মডেকিলে কলজে, জওহরলাল নহেরু মডেকিলে কলজে, প্রকৌশল কলজে, দুটি পলটিকেনকি ও ১২টি অনুষদ বশ্বিবদ্যিালয়টরি অধভিুক্ত। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শক্ষিাগত মানোন্নয়নরে ফলে খুব দ্রুতই বস্তিৃত হচ্ছে আলীগড়রে পরসির। এমটকে ন্যানো টকেনোলজ,ি জীববচৈত্র্যি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ, বন্যজীবন বাস্তু সংস্থান ও ব্যবস্থাপনা, র্সাজক্যিাল এন্ডোস্কোপ, ডন্টোল র্সাজার,ি পরবিশেগত রসায়ন, খাদ্য বশ্লিষেণ এবং জবৈ পরীক্ষাগার কলাকৌশল বষিয়ে স্নাতকোত্তর ডপ্লিোমা র্কোসসহ প্রায় আড়াইশো বষিয়ে রোজ অধ্যয়নরে সুযোগ রয়ছে।ে র্কোসগুলো চালু করার জন্য গড়ে তোলা হয়ছেে সন্টোর ফর প্রোফশেনাল র্কোসসে। এছাড়াও রয়ছেে ভারতরে প্রথম ও এশয়িা মহাদশেরে দ্বতিীয় বৃহত্তম গ্রন্থাগার। নাম ‘মাওলানা আজাদ লাইব্ররে’ি। প্রায় চার কোটি রুপি ব্যয় করে সাড়ে ১১ লাখরে বশেি বই, তথ্য-উপাত্ত, দললি সংরক্ষণ করা হয়ছে।ে চর্তুথ খলফিা হজরত আলী (রা.)-এর সময়কার পবত্রি কোরআন শরফিরে পাণ্ডুলপি,ি বায়জেদি আনসাররি হলনামা, সম্রাট আওরঙ্গজবেরে সময়কার নন্দতি চত্রিকর মনসুর নাকাশরে ‘লাল ফুল’ এবং সম্রাট বাবর, আকবর ও শাহজাহানরে আমলরে রাজকীয় আইনকানুন ও রায়রে কপসিহ র্দুলভ কছিু সংগ্রহ রয়ছেে এত।ে তবে ‘ভক্টিোরয়িা ফটক’ বশ্বিবদ্যিালয়রে একটি বখ্যিাত স্থাপনা। বশ্বিরে ২৪ দশেরে প্রায় ৩০০ জন শক্ষর্িাথী বভিন্নি বষিয়ে এখানে লখোপড়া করছনে। পড়াশুনোর প্রধান মাধ্যম ইংরজেি হলওে হন্দি,ি র্উদু, র্ফাস,ি আরব,ি সংস্কৃত, তলেগেু, তামলি, বাংলা, মালায়লাম, মারাঠ,ি পাঞ্জাব,ি কাশ্মরি,ি র্ফাস,ি র্তুক,ি র্জামান ও রুশভাষা শখোরও সুব্যবস্থা রয়ছে।ে প্রযুক্তরি দকি থকেওে প্রতষ্ঠিানটি বশে এগয়ি।ে ই-রসর্িোস সস্টিমেরে মাধ্যমে ৩০ হাজাররেও অধকি শক্ষর্িাথী ও ৩০০ র্কমী গবষেণা অনুদান কংিবা যকেোনো ধরনরে তথ্য সহায়তার বশিষে সুবধিে পাচ্ছনে। উন্নত শক্ষিা ও গবষেণার ওপর বশিষে নজর দয়োর ফলে ২০০৮ থকেে ২০০৯ সালরে মধ্যে পএিইচডি ডগ্রিধিারীদরে সংখ্যা ২২০ থকেে ৫০০ জনে গয়িে দাঁড়ায়। যা বগিত বছররে তুলনায় দ্বগিুণরেও বশে।ি শক্ষর্িাথীদরে পাশাপাশি আলীগড়ে এখন শক্ষিকরাও বশে উদ্যমী। প্রতবিছর অন্তত একটি বশ্বিখ্যাত সাময়কিীতে নজিরে গবষেণাপত্র প্রকাশ করছনে তারা। লখেক : শক্ষর্িাথী, দারুল উলুম দওেবন্দ, ভারত।