ভারতর্বষে যভোবে ইসলামরে সূচনা
মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম
ইতহিাসরে পাতায় দৃষ্টি দলিে দখো যায়, আরবরাই ভারতরে প্রাচীনতম মুসলমি অভবিাসী। হজরত মুহাম্মদ সা.’-এর জীবদ্দশায় এক কাফলো র্দশর্নাথী হয়ে লঙ্কাভমিুখে সমুদ্র পথে যাত্রা করনে। এ র্তীথযাত্রীগণ মালাবার উপকূলে ‘চরেুমান পরেমল’য় জনকৈ হন্দিু রাজার সঙ্গে ‘ক্রঙ্গোনো’ তে সাক্ষাৎ করে হজরত মুহাম্মদ সা. র্কতৃক চন্দ্র বভিাজন কাহনিী র্বণনা করনে। রাজা তাদরে মুখে শোনা এ অতপ্রিাকৃত ঘটনা বশ্বিাস করে মুসলমান হোন। আরব মুসলমানরা লঙ্কা হতে র্তীথসমাধা করে যাবার সময় রাজা ‘চরেুমন পরেুমল’ গোপনে তাদরে সঙ্গে হজরত মুহম্মদকে সা.-এর সঙ্গে সাক্ষাতরে জন্য মক্কায় যান। তাদরে একজনরে নাম ছলিো শরফ বনি মালকি। রাজা কছিু দনি আরবে থকেে দশেে ফরিে ইসলাম প্রচারে বদ্ধপরকির হলে , তা পরপর্িূণ হয়ে উঠনেি এর ভতেরইে তনিি মারা যান। কন্তিু মৃত্যুর আগে তনিি ‘শরফ বনি মালকি’ ও তার সঙ্গদিরে মালাবারে ইসলাম প্রচার করতে অনুরোধ করনে এবং এক পত্রে এ কথা রাজ্যরে প্রধানদরে জানয়িে দনে। রাজার মৃত্যুর পর, শরফ বনি মালকি ও তাঁর বন্ধুগণ রাজার এ অনুরোধ ‘ক্রঙ্গোনোরে ‘এসে উপস্থতি হয়ে জানালে রাজপ্রধানরা গ্রহণ করনে। রাজপ্রধানরা তাঁদরে বাসবাসরে জন্য এক খন্ড ভূমি দান করনে। এবং তথায় তাঁরা একটি মসজদি নর্মিাণ করনে। এই র্ধমপ্রচারক দলরে একজন মালকি বনি দীনার এস্থানইে থকেে যান। তাঁদরে মধ্য হতে অন্য আরকে র্ধম প্রচারক, মালকি বনি হবীব সমগ্র মালাবারে র্ধম প্রচার ও মসজদি নর্মিাণ করে ঘুরে বড়োন। তার যাত্রাপথে র্সবপ্রথম ‘কুইলন’ এবং তারপর ‘হল্েিলি মরবীত’ে মসজদি নর্মিাণ করনে। ভারতরে সঙ্গে ইউরোপ ও আফ্রকিার বাণজ্যি তখন আরবি মুসলমানদরে মধ্যস্থতায়ই চলছলিো। কবেল , সুরাট , কালকিট প্রভৃতি সমুদ্রতীরর্বতী বন্দরমালা, মালদ্বীপ, লাক্ষ্যদ্বীপ ও সরদ্বীপ প্রকৃতি ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং লাহোর, মুলতান, কাবুল প্রভৃতি ভারতীয় ও ভারত প্রভাবতি নগরগুলি এ সময়ে গড়ে উঠ।ে এবং তা বহর্ঃিবশ্বিরে নকিট পরচিতি লাভ কর।ে এবং ব্যবসা- বাণজ্যিরে জন্যই মূলত এ সমস্ত স্থানরে খ্যাতি বশ্বিব্যাপী পড়।ে আরব মুসলমানদরে আগমনইে ভারতরে সঙ্গে বহর্ঃিবশ্বিরে যোগাযোগ স্থাপতি হয় এবং ভারতরে নঃিসঙ্গত্ব ভঙ্গেে পড়।ে ভারতে ইসলাম প্রতষ্ঠিার প্রাথমকি ইতহিাস, শান্তি প্রর্বতনরেই ইতহিাস। এ ইতহিাস কোনো কলঙ্কতি নয়। প্রাথমকি যুগরে মুসলমানদরে অর্ন্তনহিতি গভীর র্ধমীয় বশ্বিাস, আত্মত্যাগ ও প্রবল প্ররেণাই সে যুগে ভারতে ইসলাম প্রতষ্ঠিার প্রথম ও প্রধান কারণ। পরর্বতী যুগরে মুসলমি রাজ্য র্পূব প্রতষ্ঠিতি ইসলামরে ভত্তিকিে সম্প্রসারতি ও সুদৃঢ় করে দয়িছেে মাত্র। ভারতে মুসলমি রাজ্য প্রতষ্ঠিতি ও বস্তিৃত হওয়ার ফলে এদশেরে রাজনতৈকি ক্ষত্রেে এক নতুন প্রভাবও অনুভূত হয়। সে সময় রাষ্ট্রীয় জীবনরে সীমাবদ্ধতার সঙ্গে মানসকি সর্ষ্কীণতাও ভারতীয়দরে মনে ক্রমশঃ দানা বাঁধতে শুরু কর।ে তাদরে এ মানসকি সর্ঙ্কীনতাও কালক্রমে এক একটি সংস্কারে এবং পরে সইে সংস্কারগুলি র্ধমে পরণিত হতে থাক।ে যতোই দনি যতেে থাকে ততোই ভারতবাসী ভাই ভাই হতে লাগ।ে এ অস্পৃশ্য বা অচ্ছুৎ হন্দিু জাতকিইে মহাত্মা গান্ধী ‘হরজিন’ নামে অভহিতি করনে। এ সময় মুসলমানরা ইসলামরে সাম্যরে বাণী নয়িে মানবতার জয়গান গয়েে ভারতে প্রবশে করনে। তাদরে এ বাণীকে দরবশে ও মুসলমি সাধকরো আপন জীবনে রূপদান এবং শাসক সম্প্রদায় রাষ্ট্রীয় জীবনে গ্রহণ কর।ে ভারতীয়রা তখন ই প্রথম শুন,ে “মানুষে মানুষে কোনো ভদোভদে নইে। শক্ষিা- দীক্ষা, ব্যবসা- বাণজ্যি, ক্ষমতা, রাজপদ ও জীবন -জীবকিা মানুষকে মানুষ হতে পৃথক, উত্তম অথবা অধম করতে পারে না। সকল মানুষ এক আল্লাহর সৃষ্ট।ি তার ইচ্ছে ও ইঙ্গতিইে সমস্ত সৃষ্টি হয়ছে,ে হচ্ছে আর হব।ে এ রাষ্ট্রীয় একত্ববোধ ভারতীয় সংস্কৃতরি অন্যান্য ক্ষত্রেওে ধীরে ধীরে রূপ গ্রহণ কর।ে
উদাহরণসরূপ র্উদু ভাষা উদ্ভবরে কথা বলা যায়। একদকিে রাষ্ট্রীয় একত্ববোধ এবং অন্যদকিে শাসক ও শাসতিরে মধ্যে ভাব বনিমিয়রে আবশ্যকতার মৌলকি উপলব্ধি হতইে এ ভাষার উদ্ভব ঘট।ে মুসলমান রাজত্বরে প্রারম্ভে উত্তর ভারতীয় এক প্রদশে অন্য প্রদশেকে বুঝতো না বা বুঝতে পারত না। মুসলমান আমলে প্রায় সমগ্র ভারত এক শাসনাধীন হয়। লখেক, শক্ষর্িাথী, দারুল উলূম দওেবন্দ, ভারত।