৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে দ্রুত কাজ করছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী
ফারুক আলম: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষে দ্রুত কাজ করছে সরকার। আর এই ওয়েজবোর্ডের আওতায় বিকশমান ইলেকট্রনিক মিডিয়া, টেলিভিশন ও রেডিওকে অন্তর্ভুক্ত করতে আমাদের নীতিগত সমর্থন রয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারি ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের প্রস্তাবে আমরা নীতিগতভাবে স্বীকৃতি দিয়েছি। সরকার উদ্যোগ নিলেও এটা মূলত সাংবাদিক, কর্মচারী এবং মালিকপক্ষ-এই ত্রিপক্ষীয় একটা ব্যবস্থা।
একজন বিচারপতি ওয়েজবোর্ডে নেতৃত্ব দেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৯ম ওয়েজবোর্ডের জন্য একজন বিচারপতি থাকবেন। তিনি সুবিচার করার চেষ্টা করেন। সেখানে আমাদের তরফ থেকে বিচারপতিকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। বাকি কাজ তথ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। বাকিটা সাংবাদিক, কর্মচারী, শ্রমিক, মালিকপক্ষ প্রতিনিধি দেবেন, সেটাকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আইনগত রূপ দেবো ।
তিনি বলেন, এই সদস্যরা ধারাবাহিক আলোচনার মধ্য দিয়ে ওয়েজবোর্ডের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ওয়েজবোর্ড গঠনের যে প্রস্তাব এসেছে। সেই প্রক্রিয়ায় আমরা অনেক দূর এগিয়েও গেছি। আমরা আশা করছি, অতিদ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে তারা (ওয়েজবার্ড) কাজ শুরু করতে পারবে। ইনু বলেন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন, নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)-এই দুটি সংগঠনের প্রতিনিধি আমাদের দফতরে জমা হয়নি। এই প্রতিনিধি দেয়ার দায়িত্ব তাদেরই। বাকিদের মধ্যে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজ পেপার প্রেস ওয়ার্কার্স-তাদের প্রতিনিধি দিয়েছেন। কাজটা কিছুদূর এগিয়ে গেছে। বাকি থাকলো বিচারপতি নিয়োগ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারপতির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তারা এখনও চূড়ান্ত করে পাঠায়নি। প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত করলে আমরা আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবো। ওয়েজবোর্ড গঠনের আইনগত বিধান অনুসারে আমরা যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছি। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নাম দিতে অনুরোধ করেছি, নাম দিচ্ছেন। নাম দেবেন না বলে কেউ বলেননি।
মন্ত্রী বলেন, বিকাশমান ইলেকট্রনিক মিডিয়া, টেলিভিশন ও কমিউনিটি রেডিও এবং এফএম রেডিওতে যারা কাজ করছেন, তাদের বর্তমানে ওয়েজবোর্ডের বিধানে আনতে পারছি না। সবার দাবি হচ্ছে, এবার যেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করি। ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনতে আইনে হাত দিতে হবে। সেটা বড় কথা নয়। মানুষের জন্য সব করা যায়। নীতিগতভাবে তাদেরকে (ইলেকট্রনিক মিডিয়া) ওয়েজবোর্ডে আনতে আমরা সম্মত। এজন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। কিভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে আমরা ওয়েজবোর্ডে আওতায় নিয়ে এসে একই ওয়েজবোর্ডে পুরো বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যায়; এ বিষয়ে কাজ চলছে। সম্পাদনা: এনামুল হক