২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট: ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। দেশের মানুষ এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। দেশে ৫,২০০টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৬.৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১১.৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে বলে জানন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ
কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের উদ্যোগে লন্ডনের লনকাস্টার হাউসে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ট্রেড মিনিস্টার সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৭৮ ভাগ, এখন তা ১৫.৫ ভাগ, শিল্পে ২৮.১ ভাগ এবং সার্ভিস সেক্টরে ৫৬.৩ ভাগ। দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ খাদ্যের কোনো অভাব নেই। দেশের চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশ এখন চাউল বিদেশে রপ্তানি করছে। দেশের রপ্তানি ৩৪৮ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, আগামী বছর রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন ২০২১ সফল করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭১-৭২ অর্থ বছলে জাতীয় বাজেট ছিল মাত্র ৫২৮ কোটি টাকা, এ বছর ৩,৪০,৬০৫ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিও হার গত বছর ছিল ৭.১১ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ১,৪৬৬ মার্কিন ডলার। দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রম এখন বেশির ভাগ ডিজিটাল হয়েছে। সার্ভিস সেক্টরে এখন অটোমেশন চালু করা হয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে অফিসের কার্যক্রম চলছে। দেশের মানুষ এখন সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সেবা ভোগ করছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্র এবং মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। দেশ ইতোমধ্যে মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আইটি খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত যুবশক্তি এখন আইডি সেক্টরে সফলভাবে কাজ করছে। এ খাতের রপ্তানি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি সফলভাবে অর্জন করবে। বাংললাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের দেওয়া এভ্রিথিংস বাট আর্মস(ইবিএ)-এর আওতায় সম্পূর্ণ বাজার সুবিধা পেয়ে আসছে। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে যাতে এ সুবিধা অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নীতি নির্ধারকদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সম্মেলনে ৬টি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। বিষয়গুলো হচ্ছেÑ ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইজি অফ ডুয়িং বিজনেস, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন, বিজনেস অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি, ক্রিয়েটিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইকোনোমি এবং এ্যাট্রাক্টিং ইনভেস্টমেন্ট। সম্মেলনে কমনওয়েলথ ভুক্ত ৩৭টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী যোগদান করেন। সম্পাদনা: এনামুল হক