বেতন-ভাতায় ১০০ কোটি পাচ্ছে বিজেএমসি কাঁচা পাট কিনতে ১৭০ কোটি আর
হাসান আরিফ: কাঁচা পাট কেনা, বকেয়া বেতন ও মজুরি এবং গ্র্যাচুইটির জন্য বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনকে (বিজেএমসি) ঋণ সহায়তা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে এই টাকা ছাড় করা হয়েছে। তবে টাকা ব্যয় করতে হলে অর্থ বিভাগের শর্ত মেনে তা ব্যয় করতে হবে।
অর্থবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাঁচা পাট কেনার জন্য ১৭০ কোটি এবং বকেয়া বেতন ও মজুরির জন্য ৬০ কোটি আর গ্র্যাচুইটির জন্য ৪০ কোটি টাকা। এই তিন খাতে মোট ২৭০ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেএমসি। তবে এই টাকায় সংস্থাটি তার আওতাভুক্ত মিলগুলোকে সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পাট কিনাসহ বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে।
অর্থ বিভাগের শর্তে বলা হয়েছে, নিদিষ্ট খাত ব্যতীত বিজেএমসি অন্য কোনো কাজে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে না। এ ছাড়া এ অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। ছাড় করণ বিষয়ক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিজেএমসির আওতায় পরিচালিত মিলসমূহের কাঁচা পাট কেনাসহ বেতন-ভাতার লক্ষ্যে ২৭০ কোটি টাকা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ বিভাগের ‘অনুন্নয়ন খাতে নগদ ঋণ’ খাত থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ছাড় করা ২৭০ কোটি টাকা সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। অন্যান্য শর্তগুলো হল- ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব সিএ ফার্মকে দিয়ে তৈরি করা অডিট রিপোর্ট আগামী তিন মাসের মধ্যে অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
ছাড় করা অর্থ বিজেএমসির অনুকূলে সরকারি ঋণ হিসেবে গণ্য হবে, যা আগামী পাঁচ বছর পাঁচ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসির একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
আর্থিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি ও অর্থ বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে বর্ণিত শর্তাদি যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। সম্পাদনা: এনামুল হক