কাঁচাবাজারগুলোতে ফরমালিন যাচাইয়ে নেই কোনো ব্যবস্থা
বিপ্লব বিশ্বাস : ফলের মৌসুম ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় কাঁচাবাজারগুলোতে খাদ্যে ফরমালিন বা রাসায়নিক পরীক্ষা এখন আর হয় না। মনিটরিং এর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ভোক্তারা আসলে কি খাচ্ছে এবং তা কতটুকু নিরাপদ, সে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে আড়ালেই। তাই বাজারগুলোতে খাদ্যে ফরমালিন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল ডিটেক্ট করার ব্যবস্থা আবারো জোরদার করার কথা জানালেন ভোক্তারা।
এখন যে কোনো ফল কেনেন না কেন। ওপর দিয়ে পচবে না কিন্তু ভেতর দিয়ে শুকিয়ে যাবে। ‘খাবারে ফরমালিন বা কেমিক্যাল আছে কি’না কিভাবে বুঝতে পারেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে ভোক্তারা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এভাবে। এসব ভোক্তার রয়েছে বর্তমান বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাপনা নিয়েও অভিযোগ। এক ভোক্তা বলেন, ‘ফরমালিন যে আছে এটা বুঝা যায়। কারণ, ঐভাবে নষ্ট হয় না। বাজার মনিটরিং করতে কেউ আসে না। আমার চোখে তো কখনোই সিটি কর্পোরেশনের লোক পড়ে না। রাজধানীর বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ২০১২ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শান্তিনগর, মহাখালী, গুলশান-২, মগবাজার ও কাপ্তানবাজারসহ বেশকিছু কাঁচাবাজারকে ফরমালিন মুক্ত ঘোষণা করা হয়। দেয়া হয় ফরমালিন ডিহাইড্রেড যন্ত্র। এছাড়া খাদ্যে ফরমালিন শনাক্ত করতে যেসব যন্ত্র দেয়া হয়েছিল, সেসব যন্ত্র ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সেগুলো বাজার থেকে তুলে নেয়ার আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এসব মেশিনও হয়ে গেছে অকেজো জানান বাজার কর্তৃপক্ষরাও। এখন কোনো পরীক্ষা করা ছাড়াই কেনাবেচা হয় এসব বাজারে। এদিকে বাজার মনিটরিং ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সিটি কর্পোরেশনের তৎপরতা আরো বাড়ানো উচিৎ বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগটা যদি আবার নেয়া হয় এবং মোবাইল কোর্টগুলোকে যদি শক্তিশালী করা হয় তাহলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানালেন, এই সিটি কর্পোরেশনের অধীনে থাকা বাজারগুলোতে আবারো দেয়া হবে ফরমালিন ডিটেক্ট যন্ত্র। এছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং ছাড়াও কাঁচাবাজারগুলোর উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানান ভোক্তারা। সম্পাদনা: এনামুল হক