অত্যন্ত আনন্দ ও ভালোলাগার খবর
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী
২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ স্বীকৃতি দিয়ে তা সংসদে পাস হয়েছে। এটা তো আমাদের বহু প্রতীক্ষিত। আমরা সবসময় বলে এসেছিÑ ২৫ মার্চ যা হয়েছে এদেশে তা গণহত্যা ছাড়া কিছুই নয়, কিন্তু এটার যদি জাতীয় স্বীকৃতি না থাকে তাহলে ভীষণ দুঃখের কথা। দেরীতে হলেও সরকার আমাদের দাবির যৌক্তিকতা অনুবাধন করেছে। এবং তা গ্রহণ করে সংসদে পাস করেছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখের কথা। আনন্দের। ভালোলাগার। এই যে জাতীয় স্বীকৃতি, বাংলাদেশে যে ৩০ লাখ মানুষ তাদের জীবন দান করলেন দেশের জন্য, জাতীয় স্বীকৃতির ফলে তাদের আত্মাও শান্তি পাবে। ২৫ মার্চ গণহত্যার শিকার মানুষেরা তাদের জীবন দিয়ে গেলেন দেশের জন্য, তার তো স্বীকৃতি এতদিন ছিল না। জাতীয়ভাবে এই স্বীকৃতি পাওয়াতে আমরা খুব স্বস্তি পেলাম। আমার মনে হয়, আমাদের প্রিয়জনদের আত্মাও এখন শান্তি পাবে। তা ছাড়া ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণার ফলে আন্তর্জাতিকভাবেও এর স্বীকৃতি লাভের দরজাও খুলে গেল। এ বিষয়ে সমস্ত বিশ্ব জানলেও এর কোনো জাতীয় স্বীকৃতি ছিল না বলে এ নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ও কিছু বলেনি বা বলতে পারেনি এতদিন। এখন জাতীয়ভাবে স্বীকৃতির লাভের ফলে আন্তর্জাতিকভাবেও তার স্বীকৃতির প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। হয়তো সেই স্বীকৃতি আমরা পেয়েও যেতে পারি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পারলে গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তানের এই যে যত মিথ্যাচার, সেটা বন্ধ হবে। এই মিথ্যাচারের আর কোনো সুযোগ থাকবে না। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি করারও কোনো সুযোগ পাবে না এরা। সরকারের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কারণে সাধুবাদ জানাই। সরকার এ জন্য প্রশংসা পেতেই পারে।
পরিচিতি: শহীদ জায়া
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান