রাশিয়ান কিশোরীদের আত্মহত্যার মূলে একটি ভিডিও গেম!
পরাগ মাঝি: সাম্প্রতিক কয়েকটি আত্মহত্যা চেষ্ঠা ও আত্মহত্যার কারণ নিয়ে অনুসন্ধান করছিলো রাশিয়ার পুলিশ। এসব আত্মহত্যা এবং এর চেষ্ঠাকারীদের সবাই ছিলো অল্পবয়সী কিশোরী। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে সবকটি ঘটনার মূলেই ছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র।
রাশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, দেশটিতে হঠাৎ করেই আত্মহত্যা প্রবণতার মূল কারণ আসলে একটি ভিডিও গেম। গেমটির নাম- ব্লু হুয়েল। গেমটি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে নিজেকে নির্যাতনের প্রবণতা বাড়িয়ে তুলে। গেমটি খেলতে শুরু করলে তারা তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও কাটাকুটি করে এবং তাদের চামড়ায় ক্ষত করে বিভিন্ন চিহ্ন আঁকে। এভাবে ৫০ তম দিনে ফাইনাল এপিসোডে যাওয়ার পর তাদের আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়। মূলত ১৫ বছর বয়সী ইউলিয়া কনস্টান্টিনোভা এবং ১৬ বছর বয়সী ভেরোনিকা ভোকোভা নামে দু’জন স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করলে প্রশাসনের টনক নড়ে। ফেব্রুয়ারীর শুরুর দিকে তারা দুজনই বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনাটি তখন আরও বড় ধরণের দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছিলো। তাদের মত্যুরহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়গুলোতে তারা একটি গেম দিয়ে দারুণভাবে প্রভাবিত ছিলো। এছাড়াও ১৫ বছরের মেয়েটির ডাক নাম ছিলো ইকাতারিনা। রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ দেয়। এতে সে মারত্মক আহত হয়। এ ঘটনার দু’দিন আগেই ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী একটি কমিউটার ট্রেনের নিচে আত্মাহুতি দিতে চেয়েছিলো। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই অনুসন্ধানকারীরা ওই ব্লু হুয়েল গেমটিতে গিয়ে ঠেকছিলো। যে গেমের শেষ লেবেলটি আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।
আত্মহত্যাকারী কসটেন্টিনোভা তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বশেষ স্ট্যাটাসটিতে লিখেছিলেন- শেষ (ঊহফ)। আর এর ঠিক আগের পোস্টটিতে সে একটি নীল তিমির ছবি পোস্ট করেছিলো। ভোকোভাও তার সর্বশেষ পোস্টটিতে লিখেছিলেন- চেতনা হারিয়ে গেছে…শেষ। মেট্রো, ডেইলি মেইল