বিএনপির নেতাদের প্রতিবাদ প্রধানমন্ত্রী সেই কাগজ দেখান, প্রমাণ দিতে না পারলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: ভারতকে মুছলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির নেতারা বলেছেন, বিএনপি যদি মুছলেকা দিয়েই থাকে তাহলে নিশ্চয়ই কোনো কাগজে সই করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই কাগজ দেখান। আপনি প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ দিতে না পারলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আরও বলেছেন, ভারতকে গ্যাস দেয়নি এ কারণেই কী বিএনপি ক্ষমতায় আসেনি? গতকাল বিএনপির নেতারা ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানে এইসব কথা বলেন।
গ্যাস দেওয়ার চুক্তি করে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপিÑ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি ভারতকে গ্যাস দেয়নি। এ কারণেই কী বিএনপি ক্ষমতায় আসেনি?
ভারতকে মুছলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসসুজ্জাসান দুদু। এ বিষয়ে প্রমাণ দিতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবেÑ বলেন দুদু।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপি যদি মুছলেকা দিয়েই থাকে তাহলে নিশ্চয়ই কোনো কাগজে সই করেছিলেন। আপনি প্রধানমন্ত্রী সেই কাগজ দেখান। আর সেটি না পারলে জাতির কাছে মিথ্যার দায়ে ক্ষমা চান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখন হয়তো ভারতের সঙ্গে আপনার মান অভিমান চলছে। কিন্তু আপনাকে বান্ধবী হিসেবে রিজেক্ট করেনি। আর খালেদা জিয়ার বিদেশে বন্ধু আছে, প্রভু নেই। কিন্তু আপনার প্রভু আছে, বন্ধু নেই। ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে বলেই বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়। কিন্তু বন্ধুত্বের মাত্রা যেন প্রভুত্বে পরিণত না হয়। এটি দেশের জনগণ মেনে নিবে না। কিন্তু আপনি (প্রধানমন্ত্রী) তাদের বন্ধু নয়, প্রভু মানেন।
সরকারের নতজানু নীতির কারণেই ভারত প্রতিরক্ষার চুক্তির চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, জনবিছিন্ন ভোটারবিহীন সরকার চারদিকে নির্বিকার হয়ে উঠেছে। ভারতীয় পলিসি মেকার ও ’র’ এর সঙ্গে আওয়ামী সরকার ও শেখ হাসিনার গভীর প্রেম ও সর্ম্পক আছে। শেখ হাসিনা উদোর পি-ি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে।
ভারতের কাছে বিএনপি গ্যাস বিক্রি করবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই মিথ্যা কথা বলে। আওয়ামী লীগ হলো মিথ্যার ল্যাবরেটরি অর্থাৎ মিথ্যার গবেষণাগার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ডিগ্রি পেয়েছেন। তাকে মিথ্যার ডিগ্রিও দেওয়া উচিত।