১৬ দেশের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন শুরু অপরাধীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে প্রতিনিয়ত তাদের কৌশল বদলে ফেলছে
আজাদ হোসেন সুমন: প্রথম জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে ঢাকায় ১৪টি দেশের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ইন্টারপোল মহাসচিব ইওরগেন স্টক এবং মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও পুলিশ প্রধানসহ মোট ৫৮ জন বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন এ সম্মেলনে।
সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, আইজিপি একেএম শহীদুল হক বক্তব্য রাখেন ও ইন্টারপোল মহাসচিব ইওরগেন স্টক বক্তব্য রাখেন। ‘রিজিওনাল কো-অপারেশন ইনকার্বিং ভায়োলেন্ট এক্সিট্রিমিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম শীর্ষক সম্মেলনের প্রথম দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান একেএম শহীদুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আন্তঃদেশীয় অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনে অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এ সম্মেলনে একটি সমন্বিত কৌশল প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া পুলিশ প্রধানদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হবে।
আইজিপি বলেন, অপরাধের ধরন বদলে যাচ্ছে। অপরাধীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে প্রতিনিয়ত তাদের কৌশল বদলে ফেলছে। তারা একদেশে অপরাধ করে আরেক দেশে পালিয়ে থাকছে। এছাড়া এখন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন দেশে নিজেদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে এ অবস্থায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিরিক্ষেই এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে পেশাগত ও কৌশলগত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করাও এ সম্মেলনের লক্ষ্য। আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনেই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া ইন্টারপোল, ফেসবুক, যুক্তরাষ্ট্রের আইজিসিআই, এফবিআই, আসিয়ানপোল ও আইসিআইটিএপিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন সম্মেলনে।
তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মোট ১৪টি কর্ম অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে। জঙ্গিবাদ দমন, মানবপাচার, অর্থনৈতিক অপরাধ, সন্ত্রাসী অর্থায়ন, মাদকদ্রব্য পাচার রোধ, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়ও রয়েছে এরমধ্যে। সম্মেলনের শেষ দিন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ প্রতিরোধের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করবেন অংশ নেওয়া দেশের প্রতিনিধিরা। সম্পাদনা: এনামুল হক